আমরা সবাই অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করি। বর্তমান বিশ্বে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি। অনেক আছে একটির বেশি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে থাকি। আমরা সবাই অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করি কারণ এই ফোনের দাম কম এবং এর অপারেটিং সিস্টেম অনেক সহজ। অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি চিন্তা করেন যে আইফোন কিনবেন তাহলে আপনার জন্য সুখবর।
ইদানিং আইফোনে নতুন একটি আপডেট এসেছে। সেই আপডেটটি হলো আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সকল তথ্য আইফোনে কপি করতে পারবেন। এটি আইফোনের একটি বড় আপডেট। আমরা জানি যে আইফোনের মাধ্যমে আপনি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের তথ্য আদান প্রদান করতে পারবেন না কিন্তু এই আপডেটর পরে আপনি সকল তথ্য অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে আইফোনে আদান প্রদান করতে পারবেন। আজকে আমি এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আমরা কোন তথ্য আদান প্রদান করার জন্য বিভিন্ন আপ্লিকেশন ব্যবহার করে থাকি। বিভিন্ন অ্যাপের কাজ ভিন্ন। কেউ ফটোশপ দিয়ে আমাদের ফটো এডিটিং করি কেউ ভিডিও এডিটর দিয়ে ভিডিও এডিট করি এ রকম হাজারো অ্যাপ গুগল প্লেস্টোরে আছে যেগুলো ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকি। তেমনি অ্যান্ড্রয়েড থেকে আইফোনে তথ্য পাঠানোর জন্য আমাদের একটি অ্যাপের প্রয়োজন হবে সেই অ্যাপটি আমাদের প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। সেই অ্যাপটির নাম হলো Move to iOS আপনার পুরাতন অ্যান্ড্রয়েড ফোনে থাকা ফটো, কন্টাক্ট, ক্যালেন্ডার ও একাউন্ট খুব সহজে আপনার নতুন আইফোন বা আইপ্যাডে ওয়াইফাই কানেকশনের মাধ্যমে হুবহু কপি করতে পারেন অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সকল তথ্য ।
তো কিভাবে আপনি আপনার পুরাতন অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সকল তথ্য নতুন আইফোনে সুইচ অন করার সময় কপি করবেন মানে আপনি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে নতুন আইফোনের সুইচ অন করার সময় সকল তথ্য কপি করবেন। আপনি যেহেতু পুরাতন অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে নতুন আইফোনের সুইচ অন করার সময় সকল তথ্য কপি করবো সেহেতু আপনার আইফোন রিসেট করা আছে বা রিসেট করা না থাকলে রিসেট করে দিবেন। আপনি যদি আইফোন রিসেট করেন তাহলে আপনার আইফোনের সকল তথ্য মুছে যাবে এবং নতুনের মতো হয়ে যাবে।
আইফোন বা আইপ্যাডে ডাটা কপি করার সিস্টেম একই। তাই আমরা বুঝার সুবিধার জন্য ডাটা কপি করার জন্য নতুন আইফোন ধরে নিব যেহেতু আমাদের আইফোন রিসেট করা হয়েছে। আপনার আইফোন রিসেট করার পর সুইচ অন হলে বিভিন্ন ভাষা Hello লেখা থাকবে আপনি বুঝার সুবিধার জন্য ইংরেজি ভাষা সিলেক্ট করে নিবেন। তারপর আপনি সেখানে Set Up Manually তে ক্লিক করুন তারপর আপনার ওয়াইফাই কানেকশন করতে বলবে আপনি ওয়াইফাই কানেক্টেড করে নিবেন। তারপর আপনাকে বিভিন্ন রকমের লক দিতে বলবে আপনি চাইলে দিতে পারবেন আমি সাজেস্ট করবো Set up later এ ক্লিক করে এগিয়ে যান কারণ লক আপনি পরেও দিয়ে নিতে পারবেন। তারপর আপনার আইফোনের স্কিনে একটি শিরোনাম দেখতে পারবেন যেখানে লেখা থাকবে App & Data এটি ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন উপায়ে রিসেট করতে পারবেন। তারপর আপনি Move Data from Android এই জায়গায় ক্লিক করবেন।
এখন আপনি আপনারা পুরাতন অ্যান্ড্রয়েড ফোন সেটআপের পালা। এখন আপনি প্রথমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের প্লেস্টোর থেকে Move to iOS ডাউনলোড করুন। তারপর অ্যাপটি ওপেন করুন। ওপেন করার পর কন্টিনিউ এ ক্লিক করুন এবার টার্মস এন্ড কন্ডিশনে Agree তে ক্লিক করুন।
এবার আপনি আইফোনে ফিরে আসেন। এবার আপনি আইফোনের স্কিনে দেখতে পারবেন সেখানে ৬ থেকে ১০ সংখ্যার একটি কোড দেখাচ্ছে। এখন আপনি এই কোডটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে প্রদান করলে উভয় ফোনে অথোরাইজেশন সম্পন্ন হবে। এখন আপনার আইফোনে কিছু সময়ের জন্য বা টেম্পোরারি ওয়াইফাই কানেকশন হবে। এখন আপনার পুরাতন অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সেই ওয়াইফাইটি কানেক্টেড করুন।এবার হলো আসল কাজ এখন আপনি অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে যে তথ্য গুলো আইফোনে আনতে চান সেগুলো সিলেক্ট করুন এবং পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যান। উভয় ফোনের আদান প্রদান সম্পন্ন হওয়ার পর্যন্ত দুটি ফোন কাছাকাছি রাখুন এবং এই কাজটি করার আগে দুটি ফোন ভালো করে চার্জ করে নিন যাতে ডাটা কপি করার সময় সমস্যা যেন না হয়। আপনি অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে সমস্ত তথ্য কপি করতে পারবেন এই সিস্টেমের মাধ্যমে।
আপনার আইফোনে কাজ সম্পন্ন হলে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্কিনে Done লেখাতে ক্লিক করুন। এবার আইফোনে কন্টিনিউ লেখাতে ক্লিক করে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যান এবং আইফোন ডিভাইস সেটআপ সম্পন্ন করুন।আপনি এই সিস্টেম ফলো করে যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে আইফোনে তথ্য কপি করতে পারবেন। আইফোন কিন্তু সকলে ব্যবহার করতে পারে না কারণ এর দাম অনেক বেশি। আর আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম কিন্তু আলাদা। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মতো এতো সহজ অপারেটিং সিস্টেম নয়। অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাক করা যেমন সহজ আইফোন হ্যাক করা তেমনি কঠিন। কারণ আইফোনের সিকিউরিটি সিস্টেম অনেক হাইলেভেলের। আইফোনের এক্সেস নেওয়া অনেক কঠিন কাজ।
বর্তমানে যেসব নতুন আইফোন বা আইপ্যাড বাজারে আসতেছে সবগুলোই এক লক্ষ্য টাকার উপরে। আর আমরা তো পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা হলেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনতে পারি তাহলে বুঝেন অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কেমন সিকিউরিটি সিস্টেম থাকবে। তবে আপনি যদি সতর্ক থাকেন তাহলে আপনার সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড ফোনও কিন্তু হ্যাক করতে হ্যাকারের অনেক কষ্ট করতে হবে কারণ ইদানিং অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও মোটামুটি ভালো সিকিউরিটি সিস্টেম দিচ্ছে । তো সবাই ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে ইনশাআল্লাহ কথা হবে পরবর্তী আর্টিকেলে আজকে এই পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ।