ads

 জেনে নিন টেইলারিং/সেলাই করে আয় করার উপায় 

মানবজাতির চলার পথে পোশাক একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। এই পোশাক বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আর এই বিভিন্ন ধরণের করতে গেলে প্রয়োজন সেলাইয়ের। কাপড় কেটে নানারকম ডিজাইন করে সেলাই করে পোশাক পরার উপযুক্ত করতে হয়।


টেইলারিং প্রশিক্ষণ টেইলারিং এর গুরুত্ব টেইলারিং শিক্ষা বই  সেলাই প্রশিক্ষণ আবেদন দর্জি প্রশিক্ষণ সেলাই প্রশিক্ষণ অনলাইন আবেদন সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র.jpg


সূচিপত্র 

সেলাই কি?
সেলাই কেন করবো?
সেলাই আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ায় 
সেলাই / টেইলারিং প্রশিক্ষন
সেলাই / টেইলারিং করতে মূলধন
সেলাই আভিজাত্যের প্রতীক
সেলাই উত্তম পেশা
সেলাই সখের মাধ্যম 


সেলাই কি?

সেলাই হচ্ছে মানব জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত একটি বিষয়। মানব সভ্যতার সাথে সাথে মানুষের রুচির পরিবর্তন আসে। মানুষ ধীরে ধীরে গাছের পাতা, ছাল, পশু, পাখির চামড়া পরা ছেড়ে দেয়। সাথে সাথে কাপড়ের তৈরি নানা ধরনের পোশাক সেলাই করে পরতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আর এই কাপড় পড়ার প্রযোজনে সেলাইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। 


সেলাই কেন করবো?

সেলাই করে পোশাক পরে মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য। সুন্দর সেলাই করা একটি পোশাক মানুষের সৌন্দর্য্যকে অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। সাইজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন পোশাক পরলে নিজের মধ্যে স্বস্তি ফিল করে। সাথে সাথে আনফিট পোশাকে নিজেকে বোরিং ফিল করে। সুন্দর সেলাই করা পোশাক ব্যক্তি জিবনের রুচির পরিচয় বহন করে। 


সেলাই আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ায়

সেলাই করে পরিবারের স্বচ্চলতা আনা যায়। সেলাইকে আপনি ভলো একটি পেশা হিসাবে নিতে পারেন। একজন দক্ষ টেইলার্স স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবারের ব্যয় বহন করতে পারে। সেলাইয়ের মধ্যে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে যত বেশি নতুনত্ব আনা যায় ততবেশি চাহিদা বাড়ে। মানুষের মন বিচিত্র। সাথে সাথে পোশাকের মধ্যেও বৈচিত্র্য দেখা যায়। আর এই বৈচিত্র্যময় পোশাক তৈরি করতে পারলেই চাহিদা বেড়ে যায়। একইভাবে আর্থিক স্বচ্ছলতা বেড়ে যায়।


সেলাই / টেইলারিং প্রশিক্ষন

সেলাই / টেইলারিং করার পূর্বশর্ত হলো প্রশিক্ষন। প্রশিক্ষন ছাড়া আপনি কখনো একজন ভালো টেইলার হতে পারবেন না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই প্রশিক্ষন কোথায় পাওয়া যাবে? এটি হতে পারে কোনো যুবউন্নয় অফিসের মাধ্যমে, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে, কোনো এনজিও সংস্থার অধীনে, কিংবা কোনো দক্ষ টেইলার্সের কাছথেকে। ভালো প্রশিক্ষন না থাকলে কখনো সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পোশাক সেলাই করা সম্ভব হবেনা। সুতরাং আপনি সেলাই বা টেইলারিং শুরুর আগে প্রশিক্ষন নিয়ে নিন। তবেই আপনি হতে পারবেন একজন দক্ষ শিল্পী।

 

সেলাই / টেইলারিং করতে মূলধন

সেলাই / টেইলারিং করার সিদ্ধান্ত নিলে পূঁজি বা মূলধনের প্রয়োজনের কথা ভাবতে হবে। কারণ টেইলারিং করতে সর্বাগ্রে সেলাই মেশিন প্রয়োজন। সাথে সাথে সিজার, মেজারমেন্ট টেপ, সেইভ কাঠ, স্কেল, সূঁই, সূতা, বোতাম সহ আনুসাংগিক সব জিনিস লাগবে। সুতরাং মূলধন নিয়েই সেলাই বা টেইলারিং শুরু করতে হবে।


সেলাই একটি শিল্প

সেলাই একটি শিল্প। আর এই শিল্প আরো নান্দনিক হয়ে উঠে দক্ষ হাতের ছোঁয়ায়। সেলাই যত বেশি নিখুঁত হয় ততটাই শিল্প হিসাবে সমৃদ্ধ হয়। একটি পোশাক সেলাই করতে গিয়ে কাটিং,সময়োপযোগী ডিজাইন,বয়সের সাথে ডিজাইনের সামন্জস্য এইসব বিষয়ে সমন্বয় করতে হয়। যার ফলে এটি একটি রুচিসম্মত শিল্পে পরিণত হয়।


সেলাই আভিজাত্যের প্রতীক

পোশাক সেলাই একটি আভিজাত্যের সূচক বহন করে। কারণ স্থান কাল পাত্র ভেদে এটি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন রাজা বাদশাদের পোশাক সেলাই করা হয় একভাবে। আবার মন্ত্রী মেয়রদের এক রকম। হুজুর মোল্লােদের পছন্দ একটু ভিন্ন। সাথে সাথে মুসলিম দেশের পোশাক সেলাইয়ের কালচার অন্য রকম। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা বাহিনীর পোশাক সেলাই করা হয় ভিন্নভাবে। পোশাক সেলাইয়ের এসব ভিন্নতা ভিন্ন ভিন্ন আভিজাত্যের পরিচয় দিয়ে থাকে। মূলত সেলাইয়ের মধ্যেই ব্যক্তি আভিজাত্যের প্রকৃত রুপ ফুটে ওঠে। 


সেলাই উত্তম পেশা

সেলাই কে আমরা একটি উত্তম পেশা হিসাবে গ্রহন করতে পারি। এক্ষেত্রে  নারী কিংবা পুরুষের কোনো তফাৎ নাই। যেকেউ সেলাই করতে পারে। শুরুতে সেলাইয়ের উপর প্রশিক্ষন নিয়ে নিতে হবে। তারপর সব ধরনের আনুসাংগিক ইনোস্টুমেন নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। ছেলেরা চাইলে  টেইলারিং একটি দোকান নিয়ে সেলাই শুরু করতে পারেন। তা মার্কেট কিংবা স্থানীয় বাজারেও হতে পারে।  মেয়েরা চাইলে প্রথমে ঘরে কাজ শুরু করতে পারে। অবস্থা বিবেচনায় মার্কেটেও হতে পারে। শুধু দক্ষতার প্রয়োজন সব সময়। 


সেলাই শখের মাধ্যম

সেলাই হতে পারে একটি সখের মাধ্যম। ধরুন আপনার একটি জামার ডিজাইন খুবই ভালো লেগেছে। এক্ষেত্রে যদি সেলাই আপনার জানা থাকে তবে কোনো রকম বাঁধা বা বিড়ম্বনা ছাড়ায় আপনি তৈরি করে সখ মিটাতে পারেন। তাছাড়া আপনার সন্তান কিংবা পরিবারের কাছের কাউকে রুচিসম্মত  পোশাক আপনি বানিয়ে দিতে পারেন। শুধু তাই নয় চাঁদর, বালিশের কভার, সোফার কাভার, নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছু নিজের রুচিমতো করে বানিয়ে নিতে পারেন। সাথে সাথে নিজের ভিতরে অন্যরকম স্বাচ্ছন্দ ফিল করুন। 


ইতি কথা

আমরা চাইলে যেকেউ সেলাই বা টেইলারিং শিখতে বা করতে পারি। এতে এক দিকে আমাদের কর্মদক্ষতা বাড়বে। অন্যদিকে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হবো। সংসারের সেলাই বা টেইলারিং খরচটা সাশ্রয় হবে। আর্থিকভাবে লাভবান হবো। চলুন সবাই মিলে শুরু করি।

Previous Post Next Post

{ads}