ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনা খেলার রেজাল্ট এবং অন্যান্য তথ্য
অবশেষে জিতে গেলো আর্জেন্টিনা। গতবার ফ্রান্স বিশ্বকাপ ট্রফি দখল করতে পারলেও এবার তা আর সম্ভব হয়নি। তবে বলতেই হয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। দর্শকেরা বেশ উপভোগ করেছে এই খেলাটি।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার দেখা হয়েছে মোট তিন বার। এর মধ্যে আর্জেন্টিনার দুই জয়ের বিপরীতে ফরাসিরা জিতেছে একবার। সেটাও গত রাশিয়া বিশ্বকাপের রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ওই ম্যাচে ৩-৪ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। মেসিদের হারিয়ে ওই আসরের শিরোপা ঘরে তুলে নেয় ফরাসিরা।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স চায় তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের কাছেই রাখতে। অন্যদিকে, দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাও তৃতীয়বারের মতো ট্রফি ছিনিয়ে নিতে আত্মবিশ্বাসী। দুই দলের বিশ্বকাপ জেতার ইতিহাসই সমান। বিবিসি অবলম্বনে।
আট বছর আগে ব্রাজিলের মারকানায় বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে জার্মানির কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল মেসিকে। ফরাসিদের বিরুদ্ধে সেই আট বছর আগের আক্ষেপ ঝেড়ে কাপ জিততে মরিয়া মেসি অ্যান্ড কোম্পানি।
১৯৯৮ সালে যখন ফ্রান্স প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ট্রফি ঘরে তোলে, তখন দলের অধিনায়ক ছিলেন বর্তমান দলের কোচ দিদিয়ে দেশম। এরপর, ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স।
এদিকে, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের আশা ও স্বপ্ন প্রায় পুরোটাই বর্তেছে লিওনেল মেসির কাঁধে। তর্কাতীতভাবে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার মেসির শেষ বিশ্বকাপ এটি। ভক্তদের আশা, চ্যাম্পিয়ন হয়েই বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে বিদায় নেবেন ৩৫ বছর বয়সী বিশ্বসেরা এই খেলোয়াড়।
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ স্কোয়াড ২০২২
গোলরক্ষক
- এমি মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা)
- ফ্রাঙ্কো আরমানি (রিভার প্লেট)
- জেরোনিমো রুলি (ভিলারিয়াল)
ডিফেন্ডারদের
- মার্কোস অ্যাকুনা (সেভিলা)
- জুয়ান ফয়েথ (ভিলারিয়াল)
- লিসান্দ্রো মার্টিনেজ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
- নিকোলাস ট্যাগলিয়াফিকো (লিয়ন)
- ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম)
- নিকোলাস ওটামেন্ডি (বেনফিকা)
- নাহুয়েল মোলিনা (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)
- গঞ্জালো মন্টিয়েল (সেভিয়া)
- জার্মান পেজেলা (রিয়েল বেটিস)
মিডফিল্ডার
- অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া (জুভেন্টাস)
- লিয়ান্দ্রো পেরেদেস (জুভেন্টাস)
- রদ্রিগো ডি পল (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)
- অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (ব্রাইটন)
- এনজো ফার্নান্দেজ (বেনফিকা)
- এক্সকুয়েল প্যালাসিওস (বেয়ার লেভারকুসেন)
- গুইডো রদ্রিগেজ (রিয়েল বেটিস)
ফরোয়ার্ড
- লিওনেল মেসি (পিএসজি)
- লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান)
- পাওলো দিবালা (রোমা)
- অ্যাঞ্জেল কোরেয়া (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)
- জুলিয়ান আলভারেজ (ম্যানচেস্টার সিটি)
- থিয়াগো আলমাদা (আটলান্টা ইউনাইটেড)
- আলেজান্দ্রো গোমেজ (সেভিয়া)