ads

  

 তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুল ভ্রমণ গাইডলাইন 

রাজ প্রাসাদগুলি সরাসরি ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে যেমন চোখের প্রশান্তি পাওয়া যায় ঠিক তেমনই ঐতিহাসিক বিভিন্ন বিষয়য়াদি সম্পর্কে প্র্যাকটিক্যালি নানান তথ্য জানা যায়। সুলতান সুলেমান নামের একটি সিরিজ বেশ কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশে অসম্ভব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। 


উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতানদের তালিকা খলিফা আব্দুল মাজিদ তুরহান সুলতানের ইতিহাস অটোমানদের প্রথম রাজধানীর নাম কি ইস্তাম্বুল কেন বিখ্যাত দ্বিতীয় ওসমান ফাতিহ সুলতান মেহমেদ সুলতান সুলেমান জীবনী.jpg


যার সাথে এই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এই তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুল! চলুন তবে আজ তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুল ভ্রমণ গাইডলাইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যায়। 


তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুল পরিচিতি

আর্টিকেলের শুরুতে আমরা জানার চেষ্টা করবো তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুল সম্পর্কিত কিছু প্রাথমিক তথ্য! যা আপনাকে এই তোপাকাপি প্যালেসের সাথে পরিচিত হতে সাহায্য করবে। 


নাম শুনেই বুঝতে পেরেছেন এটি একটি রাজকীয় প্রাসাদ। যা ইসলামিক ঐতিহ্যকে বেশ গর্বের সাথেই তুলে ধরে আসছে। বলে রাখা ভালো একটি লম্বা সময় ধরে উসমানীয় বংশের রাজারা এই প্রাসাদটিতে বসবাস করে এসেছেন। ধারণা করা হয় এই সময়টি প্রায় ৪০০ বছরের মতো ছিলো। 


বর্তমানে প্রাসাদটিকে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যার প্রধান ক্যাটাগরি হিসেবে রাখা হয়েছে ইসলামিক নিদর্শনসমূহকে। জাদুঘরটিতে আমাদের প্রিয় রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর আলখাল্লা এবং তরবারিও রয়েছে। মোট কথা ইসলামিক ক্যাটাগরির ঐতিহাসিক বিভিন্ন নিদর্শন সরাসরি উপভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছে এই তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুল। 


তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুলের স্থাপনাশৈলী 

তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুলের চত্বরে শতাধিক ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো সে-সময়! জাদুঘর ছাড়াও বর্তমানে এসব ঘরও দর্শকের উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্রাসাদটিতে রয়েছে বড়সড় হেরেম। যেখানে প্রায় ৪০০ টিরও বেশি কামরা রয়েছে। এসব কামরায় সেই আমলে রাজার স্ত্রী, কন্যা, চাকরানী, রাজার খাস বাদীসহ অন্যান্যরা থাকতেন। 


তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুলের সবচেয়ে মূল আকর্ষণ হলো এতে থাকা ইম্পেরিয়াল সোফা! এটি মূলত একটি বিরাট হল। যেখানে উসমানী খেলাফতের সেই জনপ্রিয় সিংহাসনটি রয়েছে। এছাড়াও এই বিশাল হলটি সে-সময় বিভিন্ন আলোচনা, জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান কিংবা রাজকীয় আয়োজনের ব্যবস্থা করা হতো। 


কেবল প্রাসাদই নয়! তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুল মেইন প্রাসাদটির পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন স্কুল, লাইব্রেরীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নিরাপত্তার খাতিরে পুরো প্রাসাদটিকে একটি উঁচু এবং শক্ত দেওয়াল দ্বারা ঘিরে রাখা হয়েছে। এছাড়াও সে-সময় প্রাসাদের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা প্রদানকারীরা পাহাড়া দিতো! অনেক সৈন্যদের উদ্দেশ্যে প্রাসাদের বিভিন্ন অংশে ঘরও তৈরি করা দেওয়া হয়েছিলো। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এসব ঘর এখনো দাঁড়িয়ে আছে ঠিক আগের মতোন!


তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুলে প্রাসাদের পাশাপাশি হাম্মাম খানা এবং ওযু করার আলাদা স্থানও রয়েছে৷ এসবে থাকা বেসিন, কলঘর ইত্যাদির তাকালে বোঝা যায় সেসময়কার মুসলিমরা শাসক ঠিক কতটা রুচিসম্মত ছিলেন৷ এছাড়াও মসদিজ এবং প্রাসাদের দেওয়ালের লাগানো গীর্জাও রয়েছে। মোটকথা আস্ত একটি ছোট্ট সমাজে যা যা লাগে তার প্রতিটি পয়েন্টেরই ব্যবস্থা ছিলো এই তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুলে। 


তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুলের ইতিহাস 

সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ এই তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুলের নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। মূলত এর মূল কাজ শুরু হয় ১৯৫৯ সালের দিকে। 


ইতি কথা

আশা করি আমাদের আজকের এই তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুল সম্পর্কিত ভ্রমণ গাইডলাইনটি আপনার ভালো লেগেছে। পরবর্তী তোপকাপি প্রাসাদ ইস্তাম্বুল ভ্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের এই আয়োজন আপনাকে কিছুটা হলেও উপকৃত করবে এই আশা রেখে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি! 


Previous Post Next Post

{ads}