ads

 

 জেনে নিন ইরানের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে 

পারস্য সভ্যতার দেশ হিসেবে পরিচিত ইরানকে ২০১৮ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুত বর্ধনশীল পর্যটন গন্তব্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (ইউএনডব্লিউটিও)।

ইরানের দর্শনীয় স্থান   iran beautiful places 10 best places to visit in iran iran tourism historical places in iran iran tourism packages things to do.jpg

কাশান

ইরানের ইসফাহান প্রদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ শহর কাশান। এটি কাচান নামেও অভিহিত। এই শহর দুটি বড় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এরমধ্যে ‘মাউন্ট আরদেহাল’ ইরানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের অন্যতম। এই শহরের বড় অংশজুড়ে রয়েছে মারানযাব ও দাসতে কাবীরের মতো মরুভূমি। 


যেখানে হেঁটেই আপনি খুব সহজেই সূর্য উদয় দেখতে পারবেন। কাশানের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে আগা বুযুর্গ মসজিদ, আমেরী হাউজ, জালালী কটেজ, বোরুযারদী হাউজ, আব্বাসী হাউজ, তাবাতাবায়ী হাউজ, আত্তারী হাউজ, ৪০ দুখতারান দুর্গ, তাবরিজিয়া মসজিদ প্রভৃতি।


ইস্ফাহান

আপনি যদি সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে ইরান আপনার জন্য হবে স্বর্গ। আপনি যদি শিল্পে আগ্রহী হোন তাহলে এখানকার মনোমুগ্ধকর স্থাপত্য ও জাদুঘর আপনাকে আনন্দিত করে তুলবে। আর প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য ইরানে রয়েছে সেরা সেরা কিছু প্রাকৃতিক আকর্ষণ।


লুট মরুভূমি

মঙ্গলগ্রহ দেখতে কেমন হতে পারে তা বোঝার জন্য অনেকে লুট মরুভূমির ছবি দেখে থাকেন৷ দাশত-ই-লুট, যা কালুট নামেও পরিচিত, মরুভূমিতে প্রাণের চিহ্ন নেই৷ থাকবেই বা কীভাবে? ২০০৫ সালে নাসা সেখানে ৭০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মেপেছিল৷


গোলেস্তান প্রদেশ

কেমন লাগছে ছবিটি? দারুণ না! ছোট্ট যে ঘরটি দেখছেন সেটি আসলে নবি খালেদ ইবনে সেনান (আঃ)-এর মাজার৷ সেখান থেকে সারি সারি পাহাড়ের দৃশ্য সত্যিই অপূর্ব৷ এলাকাটি উত্তরপূর্ব ইরানে অবস্থিত৷


পেরজেপোলিস

আকেমেনুদ সাম্রাজ্যের, যা প্রথম পারস্য সাম্রাজ্য নামেও পরিচিত, রাজধানী ছিল পেরজেপোলিস৷ এখনও শহরটিতে সেই সময়কার কিছু স্থাপত্যের দেখা পাওয়া যায়৷ ফলে ইউনেস্কোর তালিকায় এই শহরের নামও রয়েছে৷


আবিয়ানেহ 

আবিয়ানেহ অত্যন্ত ছোট্ট একটি গ্রাম, যা ইরানের ইসফাহান প্রদেশের ইসফাহান ও কাশান শহরের মাঝামাঝিতে অবস্থিত। মাত্র ৩০০ লোক এই গ্রামে বাস করলেও এই গ্রামটি ইরানসহ বিশ্বের অনেক দেশের মানুষের কাছেই সুপরিচিত। কারণ এই গ্রামের মানুষেরা প্রায় ২ হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এখনো ধরে রেখেছে।


আর তার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৭ সালে এই গ্রাম তার নামটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।এখানে বাড়ি–ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে লাল–বাদামী রঙের মাটি দিয়ে, যা দেখলে যেকোনো মানুষের চোখ জুড়িয়ে যাবে।


ইতি কথা

ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইয়াজদ হচ্ছে বহু অত্যাশ্চর্য ঐতিহাসিক মসজিদ আর প্রাচীন জরথুস্ত্র অগ্নি মন্দিরের আবাসস্থল। ইরানের সবচেয়ে বড় দুই মরুভূমির মাঝে অবস্থিত এই ইয়াজদ শহরে আপনি গেলেই দেখতে পাবেন প্রাচীনকালের বিভিন্ন ঘরবাড়ি ও শিল্পকলার নানা নিদর্শন। শিক্ষা-সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও শিল্পকলা চর্চার কারণে এই শহরটি আধুনিক শিল্পকলার রাজধানী হিসেবে সুপরিচিত। 

Previous Post Next Post

{ads}