প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ | প্রাইমারি বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ [সকল তথ্য একসাথে]
আমাদের আজকের আয়োজন প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ এর বিস্তারিত তথ্য নিয়ে। যাদের সন্তান প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ এর এই আয়োজনে অংশ নিতে যাচ্ছে তাদের অনুরোধ করবো পুরো আর্টিকেলটির সাথে থাকার। তবে চলুন শুরু করা যাক।
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ এর সময়সূচি
নিচে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ এর সময়সূচি এবং এই পরীক্ষা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হলো:
- পরীক্ষা : প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২
- পরীক্ষার বিষয় : বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান
- মোট নম্বর : ১০০
- পরীক্ষার তারিখ : ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে
- পরীক্ষার ফলাফল: জানানো হবে
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ মানবন্টন
যারা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ মানবন্টন সম্পর্কে এখনো জানেন না তারা জেনে নিন:
- প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ হবে চারটি (বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান ) বিষয়ের উপর
- মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
- প্রতিটি বিষয়ের নম্বর হবে ২৫ করে।
- পরীক্ষা সময় ২ ঘন্টা
- চারটি বিষয়ের পরীক্ষা একই প্রশ্নপত্রে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
- বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় যে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী এগিয়ে থাকবে, তারাই এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে
- প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ এর তারিখ ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ (তারিখ চুড়ান্ত হয়নি)
- পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা সদরে।
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য
মূলত প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা এক যুগ পর আবারও শুরু হচ্ছে৷ এ মাসের শেষ সপ্তাহে প্রতিটি উপজেলা সদরে পরীক্ষা হবে৷ এতে অংশ নিতে পারবে প্রতিটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ৷
পঞ্চম শ্রেণি পেরিয়ে মাধ্যমিকে পা রাখা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারা কারা সরকারি বৃত্তি পাবে, তা নির্ধারণে এক সময় আলাদাভাবে এই পরীক্ষা নেওয়া হত, যা বৃত্তি পরীক্ষা নামেই পরিচিত৷ ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) শুরু হওয়ার পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়৷
প্রাথমিক সমাপনীর ফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়। মহামারির কারণে গেল দুইবছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয়নি৷ পরে জানানো হয়, নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে বলে সমাপনী পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না৷এ পরিস্থিতিতে প্রাথমিকে মেধা বৃত্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে আবারও আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে৷
বলে রাখা ভালো
যেহেতু ১০% শিক্ষার্থীদের পাছায় করে এ ধরনের বৃত্তি কার্যক্রম আবার চালু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাহলে এটি বৈষম্যমূলক হবে তাই এটি নিয়ে আরেকটু ভাবার অবকাশ রয়েছে এজন্য এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি বা নোটিশ প্রকাশ করা হয়নি।
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ নিয়ে অভিভাবকদের মন্তব্য
শিক্ষক ও অভিভাবকদের কেউ কেউ বলছেন, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার আদেশ কমপক্ষে ২-৩ মাস আগে দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা ভালো প্রস্তুতি নিতে পারত। করোনার মতো বিশ্ব ওলটপালট করে দেওয়া একটি মহামারি পরিস্থিতিতে প্রায় আড়াই বছর শিক্ষার্থীরা সরাসরি ক্লাসরুমে লেখাপড়া করতে পারেনি। এ কারণে তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে শিখনঘাটতি তৈরি হয়েছে। সেটির দিকে নজর না দিয়ে এভাবে পরীক্ষা চাপিয়ে দেওয়ায় শিক্ষক-অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়বে। আবার কিছু অভিভাবক অবশ্য বৃত্তি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন।
ইতি কথা
তো কেমন লাগলো আমাদের আজকের এই প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ সম্পর্কিত আর্টিকেলটি? আশা করি ভালো লেগেছে। আয়োজনটি শেষ করার পূর্বে একটা ব্যাপার মনে করিয়ে দিই। প্রাইমারি স্কুলের শিশুরা মূলত পড়াশোনার ব্যাপারে সিরিয়াস হওয়ার মুডে থাকে না + তাদের এ-ব্যাপারে চাপ দেওয়া উচিত না। সুতরাং শিশুদের মনের উপর জোর চালাবেন না প্লিজ।