ads

 জেনে নিন Fiverr কি এবং Fiverr থেকে আয় করার উপায়

Fiverr কি এবং Fiverr থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে থাকছে আমাদের আজকের আর্টিকেলের বিস্তারিত আলোচনা। যারা অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাদের জন্য এই আর্টিকের যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ সেটা তো বুঝতেই পারছেন! সুতরাং মিস করতে না চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন। 


জেনে নিন Fiverr কি এবং Fiverr থেকে আয় করার উপায়  Fiverr www.fiverr.com jobs fiverr.com login Fiverr gig কি ফাইবার মার্কেটপ্লেস fiverr.com seller ফাইভ.jpg


Fiverr কি?

Fiverr হচ্ছে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্স সার্ভিস পাওয়া যায় খুবই কম খরচে। এটি এমন একটি পদ্ধতি যার সাহায্যে ফ্রিল্যান্সারদের খুব সহজেই কাজে নিয়োগ দেয়া যায় এবং এখান থেকে ফ্রিল্যান্সাররা খুব সহজেই কাজ খুঁজে পায়।


গিগ কি?

এটা Fiverr ওয়েবসাইটের একটি সার্ভিস। সেলাররা গিগ অফার করে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ, আমি আপনার জন্য সুন্দর একটি লিখা লিখে দিব ৫ ডলারের বিনিময়ে। এরকম কিছু লিখে fiverr এ পোস্ট করাকে গিগ বলে। তারপর যার ইচ্ছা হবে, সে ৫ ডলার দিয়ে গিগ কিনবে। এবং তখন আমি তাকে ৫ ডলারে সার্ভিস দিবো। এই গিগ ৫ ডলার থেকে ১০০০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। 


সেলার কারা? 

একজন নিবন্ধনকৃত ব্যবহারকারি অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সারকে সেলার বলা হয় যে গিগ অফার করে থাকে এবং কাজ করে দেয়।


Fiverr এর ইতিহাস কি? 

প্রতিষ্ঠাতা মিকা কাফম্যান এবং শাই উইনারারের দ্বারা এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ফেব্রুয়ারি২০১০ এ এটি চালু করা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠাতা অনলাইন সেবার বাজারের ধারণা নিয়ে এসেছিলেন যা ফ্রিল্যান্স ঠিকাদারদের দ্বারা দেওয়া বিভিন্ন ডিজিটাল পরিষেবাদি কিনতে এবং বিক্রি করার জন্য দুই পক্ষের প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করবে। সাইটে দেওয়া পরিষেবাগুলি লেখা, অনুবাদ, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও সম্পাদনা এবং প্রোগ্রামিং ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত।


Fiverr কিভাবে কাজ করে?

ফ্রিল্যান্সারগণ তাদের সেবার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ সম্বলিত গিগ পোস্ট করেন। গ্রাহকগণ সেখান থেকে তাদের পছন্দনীয় গিগটি বেছে নেন। কখনো শুধু সার্চ করে, কখনওবা প্রজেক্ট পোস্ট করে ফ্রিল্যান্সার খুঁজে নেন বায়াররা।


অর্ডার প্লেস হলে গিগ এর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ গ্রাহকের একাউন্ট থেকে কেটে নেয়া হয় এবং ফ্রিল্যান্সার এর একাউন্টে জমার জন্য অপেক্ষমাণ থাকে। অর্ডার বায়ার কর্তৃক কমপ্লিট হলে ফাইভার ফ্রিল্যান্সার সেই মূল অর্থের ৮০% পেয়ে যান। বাকিটা ফাইভার সার্ভিস চার্জ হিসেবে কেটে রাখে। উল্লেখ্য, এই চার্জের পরিমাণ সময়ের সাথে কম-বেশি হতে পারে। তবে মূলনীতি এরকমই।


ফাইভারে কি কি কাজ পাওয়া যায়?

ওয়েব ডিজাইন: ওয়েব ডিজাইন বলতে কোন একটি ওয়েবসাইট এর নকশাকে বুঝায়। যা ইন্টারনেট ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সামনে উপস্থাপন করা হয়। ওয়েবসাইট সাজানোর কাজই হলো ওয়েব ডিজাইন।


ওয়েব ডেভলপমেন্ট: ওয়েব ডেভলপমেন্ট হ'ল ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন তৈরির প্রক্রিয়া, বা কোনও ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক যেমন ইন্ট্রানেট হিসাবে পরিচিত। ওয়েব বিকাশ কোনও ওয়েবসাইটের ডিজাইনের সাথে সম্পর্কিত নয়; বরং এটি কোডিং এবং প্রোগ্রামিং সম্পর্কে যা ওয়েবসাইটের কার্যকারিতাকে শক্তি দেয়।


কনটেন্ট রাইটিং: একজন কন্টেন্ট রাইটারের মূল কাজ লেখালেখি করা। আপনি চাইলে যে কোন বিষয় নিয়েই লেখালেখি করতে পারেন। কিন্তু তার আগে সে বিষয় সম্পর্কে পড়াশোনা করে নেয়া প্রয়োজন। একজন কন্টেন্ট রাইটার সাধারণত কোন প্রতিষ্ঠান অথবা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে থাকেন। এ পেশায় যেতে লেখালেখি করার আগ্রহ থাকতে হবে আপনার। এছাড়া ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা জরুরি।


গ্রাফিক্স ডিজাইন: Graphic Designers কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে বা হাতে কোন ধারণাকে ভিজ্যুয়াল রূপ দেয়। বিভিন্ন প্রকল্প, ইভেন্ট, প্রচারাভিযান বা পণ্যের বার্তা গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহৃত হয়। আপনি যদি মেধাবী এবং সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে Graphic Design হতে পারে আপনার জন্য একটি উপযুক্ত পেশা।


প্রোগ্রামিং: সহজ কথায়, কম্পিউটার অন করলেই হাজার হাজার ইন্সট্রাকশন কাজ করা শুরু করে। আমরা কম্পিউটার অন করে মিউজিক শুনি, মিউজিক প্লেয়ার একটা প্রোগ্রাম। যার মধ্যে রয়েছে অনেক গুলো ইন্সট্রাকশন। আমরা গেম খেলি। এক একটা গেম এক একটা প্রোগ্রাম। রয়েছে অনেক হাজার হাজার ইন্সট্রাকশন। আর এই ইন্সট্রাকশন গুলো লেখার কাজই হচ্ছে প্রোগ্রামিং।


ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন: WordPress হচ্ছে এক বিশেষ ধরনের Content Management System (CMS) যেটা দিয়ে চমৎকার ডিজাইনের ওয়েবসাইট ১-২ ঘন্টার মধ্যেই করে ফেলা যায়। ওয়ার্ডপ্রেস এর দেয়া অফিসিয়াল তথ্যমতে পৃথিবীর প্রতি ৩ টার মধ্যে ১ টারও বেশি ওয়েবসাইট এটি দিয়ে তৈরি করা হয়। আর এই ওয়ার্ডপ্রেস সাইটকে সাজিয়ে তোলা মানেই ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশনের কাজ। 


লোগো ডিজাইন: কেবল মাত্র একটি ইমেইজ এবং তাতে থাকা ডিজাইনের মাধ্যমে এক সাথে অনেক কিছুই বহিঃপ্রকাশ করার মাধ্যমই হলো লোগো। লোগো ডিজাইনের অনেক ধরণ রয়েছে। একজন ব্যক্তিকে লোগো ডিজানের সকল শাখায় অভিজ্ঞ হওয়া কঠিন। এখানে মিনিমাল ও ওয়ার্ডমার্ক লোগোসহ বেশ কয়েকটা ক্যাটাগরি একই শ্রেণীর হলেও ভিন্টেজ ও মাসকট ক্যাটাগরিটা সম্পূর্ণই আলাদা।


টি-শার্ট প্রিন্টিং: টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করতে যা লাগে তা হলো টি-শার্ট বা গেঞ্জি, সাবলিমেশন পেপার, সাবলিমেসন ইঙ্ক বা রং এবং মেশিন হলেই আপনার টি শার্ট তৈরি হয়ে যাবে আপনার মনের মত ডিজাইনের।


ডিজিটাল মার্কেটিং: ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে আমরা খুব দ্রুত অনলাইন কাস্টমার খুঁজে পাওয়াকে বুঝি। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্বন্ধে আমাদের পূর্ণাঙ্গ ধারণা খুব বেশি নেই বললেই চলে। ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে মূলত ডিজিটাল পণ্য একটি ক্রেতা কেন কিনবে তার কারণ গুলো খুঁজে পেতে সাহায্য করে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বুস্টিং, ক্যাম্পেইন ডিজিটাল মার্কেটিং-এর একটি বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে, কেননা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা ও ব্যবহার করার হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।


সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন: ইংরেজি শব্দ এসইও (SEO) এর সম্পূর্ণ রূপ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (search engine optimization) যা সার্চ ইঞ্জিনের কিছু সুনিয়ন্ত্রিত ও পরিকল্পিত নিয়ম/পদ্ধতি বা মেথড। যে সকল নিয়মগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজের প্রথম দিকে দেখাতে পারবেন। এসইআরপি (SERPs) তে প্রথম দিকে আপনার ওয়েবসাইটটিকে দেখানোই এসইও-এর মূল উদ্দেশ্য।


ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়গুলি কি কি?

  • সম্পূর্ণ ও প্রফেশনাল সেলার প্রোফাইল তৈরি
  • সঠিক গিগ টাইটেল ও ডেসক্রিপশন
  • আকর্ষণীয় গিগ ইমেজ ও ভিডিও
  • ট্যাগ ও ডেসক্রিপশন এ সেরা ও সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে গিগ প্রমোট করা
  • বেশিরভাগ সময় ফাইভারে অনলাইন থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা
  • স্কিল টেস্ট দেয়া
  • কাজের কোয়ালিটি ও অন-টাইম ডেলিভারি
  • হাই-লেভেল সেলার হওয়া
  • ফাইভার ফোরাম ব্যবহার


ফাইভারে কাজ পাওয়ার বাড়তি টিপস

আপনার একটি প্রফেশনাল ছবি প্রোফাইল পিকচার হিসেবে সেট করুন। আর্টিস্ট, ফিল্ম স্টার কিংবা কোনো খেলোয়াড় এর ছবি প্রোফাইল পিকচারে ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এসবের কারণে আপনার প্রোফাইলের প্রফেশনালিজম ক্ষুণ্ণ হয়।


যেহেতু অনেকের গিগ থাকার কারনে আপনার গিগটি ফাইভার থেকে খুজে বের করা সহজ না। সুতরাং ফাইভার থেকে সরাসরি কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। সুতরাং ফাইভারের বাইরে গিয়ে আপনার গিগকে প্রমোট চালানো শুরু করেন।


যে সেবা দিচ্ছেন, সেটার প্রতিযোগিতা কেমন, সে অনুযায়ী আপনি আপনার সেবা সাজিয়েছেন কি না দেখুন। আপনার বিভাগে যাঁরা ভালো করছেন, তাঁদের থেকে আপনার গিগ সাজানোর পার্থক্য কী কী, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।


ক্রেতাকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে চেষ্টা করুন। সে ক্ষেত্রে ইংরেজিতে লেখা এবং বানানের দিকে সতর্ক থাকুন এবং পেশাদারির পরিচয় দিন।


ইতি কথা

Fiverr কি এবং Fiverr থেকে আয় করার উপায় নিয়ে এই ছিলো আমাদের আজকের আলোচনা। আশা করি ভালো লেগেছে। 

Previous Post Next Post

{ads}