ads

  ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নিন

আইফেল টাওয়ারের দেশ নামে খ্যাত ফ্রান্স ভবঘুরে মানে ভ্রমণপ্রেমীদের জন্যে বেশ আদর্শ একটি স্থানও বলা যায়! কেনো বলছি? এর কারণ খুঁজতে আপনাকে আমাদের এই ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কিত পুরো আর্টিকেলের সাথেই থাকতে হবে। চলুন তবে শুরুতে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ফ্রান্সে নিজের মনের ঘোরাঘুরির ব্যবস্থা করি। পরে না হয় সরাসরি ফ্রান্সে গিয়ে এসব আলোচিত স্থানে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া যাবে। 


ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান কান ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান নরম্যান্ডি ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান ভার্সাইল ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান লাভেন্দার ফ্রান্সের দর্শনী.jpg


ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান আইফেল টাওয়ার

কে শুনেনি এই আইফেল টাওয়ারের কথা? ছোট থেকে বুড়ো...প্রত্যেকেই জীবনে একটিবারের জন্যে হলেও শুনেছে টাওয়ারটির নাম। মূলত এটি ফ্রান্সের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। যা দেখতে বছরে প্রায় ৭০,০০,০০০ দর্শনার্থী ভীড় জমায়। মূলত আইফেল টাওয়ার এমন একটি অবকাঠামো যার উচ্চতা সাধারণ মানুষের কল্পনারও বাইরে। গাসটেভ আইফেল নামক এক ইঞ্জিনিয়ারের নকশায় গড়ে উঠেছিলো লম্বা এই টাওয়ারটি। মূলত এই ইঞ্জিনিয়ারের নামেই টাওয়ারটির নামকরণ করা হয়েছে! 


ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান লাভেন্দার

এটিকে অনেকেই লাভেন্দার ফিল্ডও বলে থাকে। ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান মধ্যে এই লাভেন্দার ফিল্ডও বেশ জনপ্রিয় একটি পর্যটন এরিয়া। বিশেষ করে ফুলপ্রেমীদের কাছে তো এই স্থানটি অনেক বেশি স্পেশাল। মূলত লাভেন্দার হলো একটি ফুলের নাম। যা বেশ সুগন্ধময় এবং উপকারী। অতিরিক্ত সুগন্ধ থাকার কারণে এই ফুলকে পরবর্তীতে প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন বডি স্প্রে, পারফিউম এবং আতর করা হয়। এছাড়াও এই ফুল বেশ উপকারী মধুর উৎস। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো দক্ষিণ দিকের যে অঞ্চলগুলিতে রয়েছে, সে অঞ্চল খোলা মাঠগুলিতে এই লাভেন্দার ফুলের দেখা মিলবে। শুধুমাত্র ১ টি কিংবা ২ টি মাঠ নয়! চোখ যতদূর যাবে ঠিক ততদূর পর্যন্ত চোখে পড়বে এই বাগান।  


ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান ভার্সাইল

এটি মূলত একটি দূর্গ। অনেকেই ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান হিসেবে এটিকে ভার্সাইল দূর্গও বলে থাকে। মূলত ভার্সাইল হলো ফ্রান্সের বেশ জনপ্রিয় একটি গ্রাম। যে গ্রামটিকে জনপ্রিয় করে তোলার পেছনে হাত রয়েছে এই ভার্সাইল দূর্গ নামের পর্যটন স্পটটি। ফরাসি শিল্পকে দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে এই প্রাসাদটির যেনো জুড়ি মেলা ভার। দেখতে অসম্ভব সুন্দর এই দুর্গটিতে একটা সময় ত্রয়োদশ লুই এবং তার পরিবারবর্গগণ বাস করতেন৷ রাজকীয় ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করার কক্ষ থেকে শুরু করে সে-সময়কার শৌচাগারেরও দেখা মিলবে এই দূর্গটিতে। মোটকথা...পুরোনো দিনের রাজাদের শৈল্পিক মনোভাব এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে এই দর্শনীয় স্থানটি হতে পারে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সম্পদ। 


ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান নরম্যান্ডি

এটি মূলত ফ্রান্সের একটি ঐতিহাসিক স্থান। যা অনেক বছর ধরে ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান হিসেবে জনপ্রিয়তা কুড়িয়ে আসছে। ১০৬৬ সালের দিকে নরম্যান্ডি নামক এই প্রাসাদটি তৈরি হয়। যা ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত ব্যবহার হয়ে আসছিলো। একটি যাজকীয় গ্রাম, উত্তাল সমুদ এবং তার পাশেই বিশাল এই প্রাসাদ। যদিও বর্তমানে কেবলমাত্র একটি ঐতিহাসিক প্রাসাদই নয়! এটিকে একটি জাদুঘর হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। ফ্রান্সে ঘুরতে যাওয়া প্রতিটি দর্শনার্থীর অন্তত একটিবারের জন্যে হলেও এই মধ্যযুগীয় স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি করা বিশাল প্রাসাদটিতে ঘুরে আসা উচিত। 


ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান কান

ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান হিসেবে কান শহর পুরোটাকেই বেশ উপভোগ করা যায়। বলে রাখা ভালো এই কান কিন্তু ফ্রান্সের এমন একটি স্থান যা একটি নির্দিষ্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের গ্ল্যামারের জন্য সারাবিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে আছে। বিভিন্ন সুপারস্টারেরা এই স্থানটিকে ঘোরাঘুরি করার উদ্দেশ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান হিসেবে ধরে থাকে। যার ফলে শহরটিতে সারাবছরই সেলিব্রেটিদের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। শহরটিতে বেশকিছু অদ্ভুত প্রাসাদ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পোষাক ডিজাইনিং এর জন্যেও কান অনেক বেশি পরিচিতি লাভ করেছে৷ বলে রাখা ভালো এই কানে ঘোরার জন্যে রয়েছে Iles de Lenin's নামের অসম্ভব সুন্দর একটি সৈকত। যা উপভোগ করার জন্যে দর্শকদের উদ্দেশ্যে সেখানে ফেরির ব্যবস্থা করা আছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো শান্তিপ্রিয় দর্শনার্থীদের জন্য এই সৈকতটি হতে পারে আদর্শ ট্যুর স্পট। 


ইতি কথা

তো কেমন লাগলো আমাদের আজকের এই ফ্রান্সের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কিত আর্টিকেলটি। চেষ্টা করেছি কম বাজেটে ভালোভাবে ঘোরার মতো স্থানগুলিকে নিয়ে আলোচনা করার। জানি না কতটুকু আপনাকে কাছে ব্যাপারটাকে পৌঁছাতে পেরেছি। তবে আমি শতভাগ শিউর হয়ে বলতে পারি আজকের আর্টিকেলে আলোচিত প্রতিটি দর্শনীয় স্থান আপনার ফ্রান্স ভ্রমণকে স্বার্থক করে তুলবে৷ 

Previous Post Next Post

{ads}