ads

 

 শরীর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার

বয়স, খাদ্যের ধরন, শারীরিক পরিস্থিতির উপর এক জনের ওজন নির্ভর করে। ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে যদি শরীরের ওজন কোনও চেষ্টা ছাড়াই ৫ কেজি মতো কমে যায়, তা হলে বুঝতে হবে শরীরের অন্দরে কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছে।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায় হাত পা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ মুখমন্ডল শুকিয়ে যাওয়ার কারণ দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছি কেন হঠাৎ চিকন হয়ে যাওয়ার কারণ ওজন কমে যাওয়ার কারণ গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার বার বার গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ.jpg

শরীর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ 

ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিসের ফলে ওজন কমতে থাকে। এটিই সবচেয়ে পরিচিত কারণ ওজন কমার। 


যদি দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণ বা প্রদাহ থাকে তাহলে ওজন আস্তে আস্তে কমতে থাকে। যেমন টিবি রোগ, হাঁপানী, ঈড়ঢ়ফ ইত্যাদি।


অন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ওজন কমে যেতে পারে। আবার খাদ্য হজমের সমস্যা-মেল এবজর্বসন সিনড্রমেও ওজন কমে।


বেশি স্ট্রেসে থাকলে অনেকেরই বমি ভাব এবং ক্ষুধামান্দ্য হয়। স্ট্রেসের কারণে শরীরে এমন কিছু নিউরোট্রান্সমিটার (একধরনের রাসায়নিক) এবং হরমোন নিঃসৃত হয়, যা পরিপাকতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। এর কারণে অনেকেই খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন না, ফলে ওজন কমে। বমি ভাব দূর করতে আদা চা পান করতে পারেন।


গবেষণায় দেখা গেছে, দিনের যেকোনো সময়ে ক্লান্তির কারণ হতে পারে স্ট্রেস। ক্লান্তি থেকে অনেকে খাওয়া-দাওয়া করেন না, রান্না করতে হবে এই চিন্তা করেও খাবার বাদ দেন কেউ কেউ। এ কারণেও ওজন কমতে পারে।


পেটের কোনো অংশের ক্যান্সার, টিউমার ও আলসারের কারণেও ওজন কমে যেতে পারে। তবে এসব কারণে ওজন কমছে কি না, তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিতে হবে।


হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো মানসিক চাপ ও উদ্বিগ্নতা। কাজের চাপ বা ব্যক্তিগত জীবনে মানসিক চাপ থেকে বের হতে না পারলে ওজন কমাসহ আরা নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।  


ইটিং ডিজঅর্ডার। দু’রকমের আছে এনোরেক্সিয়া নার্ভোসা ও বুলিমিয়া নার্ভোসা। এনোরেক্সিয়া নার্ভোসা তে ওজন কমে যায়। 


ইতি কথা

দেহের ওজন কোন কারণ ছাড়াই ছয় মাসের মধ্যে ৫ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ কমে গেলে তা বিশেষ কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে লক্ষ করতে হবে দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবন ও খাবার গ্রহণে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। যদি কোনো কারণ ছাড়া ওজন কমে, তবে তা অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। ওজন কমে গেলে  অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

Previous Post Next Post

{ads}