ads

 মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার মাথানষ্ট উপায়

এই ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল স্কিল থাকাটা জরুরি। এক্ষেত্রে ক্যারিয়ার কনফার্ম হয়ে যাওয়ার মতো স্কিল ডেভলাপ করতে পারলে তো আর কোনো কথাই নেই। চলুন ঠিক তেমনই একটি স্কিল অর্থ্যাৎ মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার উপায় সম্পর্কিত বিস্তারিত সকল তথ্য জেনে নিই। 


অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোর্স অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিভাবে শিখব অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার বিনামূল্যে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার প্রশিক্ষণ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট Web development কি App developer এর আয়.jpg


অপারেটিং সিস্টেম বেছে নিন

iOS এবং Android নামে দু'টো অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। আপনি কোন সিস্টেমের অ্যাপ বানানোর কাজ শিখতে চান তা আগে ঠিক করে নিন। কারণ অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার আলাদা আলাদা সিস্টেম রয়েছে। 


তবে ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ফ্রেমওয়ার্ক নামের আরেকটি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার টেকনিক রয়েছে। যা iOS এবং Android দু'টো সিস্টেমর সাথেই যায়। 


অডিয়েন্সের চাহিদা বুঝুন 

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার আগে আপনি যেধরণের অ্যাপ বানাতে চান তা নিয়ে রিসার্চ করুন। কোন ক্যাটাগরির মানুষ এসব অ্যাপ ব্যবহার করবে এবং তারা কেমন ডিজাইন ও ইন্টারফেস পছন্দ করবে তা নিয়ে রিসার্চ করুন। এ-ব্যাপারে খুঁটিনাটি তথ্য ঘেঁটে দেখুন। প্রয়োজন পড়লে নোট করে রাখুন। 


সঠিকভাবে কোডিং শিখুন

যদি আপনি প্রোগ্রামের জগতে বা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার জগতে একেবারেই নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সর্বপ্রথম জাভা দিয়ে শুরু করুন। জাভা মূলত একধরণের কোডিং ভাষা। যার সাহায্যে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের কাজ করা হয়। 


শুরুতে জাভার শেখার পরামর্শ দেওয়ার কারণ হলো এটিকে অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষা গুলোর থেকে যাবা মোটামুটি বুঝতে আপনার অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি বেশিরভাগ প্রোগ্রামারদের প্রোগ্রামিং জগত শুরু হয় এই জাভা প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে। 


যদিও বর্তমানে বিভিন্ন টেকনিক্যাল কারণে জাভার চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবুও সহজ কিছু দিয়ে শুরু করতে চাইলে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করার ক্ষেত্রে জাভা কোডিং ভাষাকে গুরুত্ব দিতে পারেন৷ 


মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্কিল হলো কোডিং নলেজ৷ বিশেষ করে যারা স্কিলফুল পার্সোনের মতো করে ইনস্টাগ্রাম বা স্ন্যাপচ্যাটের মতো অ্যাপ বানাতে চান, তাদের জন্যে কোডিং শেখা জরুরি।


এক্ষেত্রে আপনি চাইলে Wi-Fi সংযোগের মাধ্যমে আপনার নিজের কম্পিউটার থেকে কোড শিখতে পারেন। অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যারা ফ্রিতে কোডিং শেখানোর কাজ করে থাকে। 


শুরুতে আপনাকে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করার জন্য কোডিং বেসিকগুলি শিখে নিতে হবে। যাতে সময় লাগবে কয়েক মাস থেকে শুরু করে সম্ভাব্য বছর পর্যন্ত। 


বিভিন্ন অ্যাপ বিল্ডার ব্যবহার করুন

আপনি যদি কোনো অ্যাপ দ্রুত লঞ্চ করতে চান সেক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করার মাধ্যম হিসাবে বিভিন্ন অ্যাপ বিল্ডার ব্যবহার করতে পারেন৷ 


তবে মনে রাখবেন এই ধরণের বিভিন্ন অ্যাপ বিল্ডার তখনই ব্যবহার করবেন যখন কোনো অ্যাপ তৈরি করিয়ে নেওয়ার মতো বাজেট আপনার থাকবে না বা কোড শেখার মতো পর্যাপ্ত সময় আপনার থাকবে না। 


বলে রাখা ভালো এসব মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বিল্ডারে বিভিন্ন ফ্রি টেমপ্লেট পাওয়া যায়। যার সাহায্যে বা কিছুটা কাস্টমাইজড করে আপনিও বানিয়ে ফেলতে পারবেন যেকোনো কোয়ালিটিফুল অ্যাপ। 


অ্যাপের সিকিউরিটি নিশ্চিত করুন

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে আপনার অ্যাপ ডিজাইন করাটা ততক্ষণ পর্যন্ত সফল হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি অ্যাপ সিকিউর করবেন না। কারণ ইউজারদের কাছে নিজেদের ব্যাক্তিগত তথ্য বেশ জরুরি রশদ। যা তারা কোনোভাবেই হারাতে চাইবে না। একজন অ্যাপ ডেভলাপার হিসাবে আপনারও উচিত হবে না তাদের এই ব্যাক্তিগত তথ্য পাবলিক করার। 


মোট কথা আপনার বানানো অ্যাপটি যত বেশি সিকিউর হবে, ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি ডাউনলোড করতে তত বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে। সুতরাং একজন ডেভেলাপার হিসাবে অ্যাপের সিকিউরিটি সবসময় নিশ্চিত করুন। 


মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস করার সময় যে ভুলগুলি কখনোই করবেন না

১. কখনোই অ্যাপে দুর্বল ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন ব্যবহার করবেন না।

 

২. অ্যাপ তৈরি করার সময় লোডিং টাইম অপ্টিমাইজেশানের দিকে সবসময় নজর রাখুন। 


৩. মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস করার সময় ইউজার-ফ্রেন্ডলি ডিজাইনের দিকে ফোকাস করুন। 


৪. যেকোনো সফল মোবাইল অ্যাপ লঞ্চের জন্য সঠিক টেস্ট সিস্টেম ফলো করুন। ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপটি কতটা সহজ এবং উপভোগ্য হবে তা চেক করে নিন। 


৫. অ্যাপ লঞ্চ করার আগে Google Play ডেভেলপার কন্টেন্ট নীতি পড়ে দেখুন এবং পরবর্তীতে তা মেনে চলুন। 


৬. অ্যাপ তৈরি করার পর খারাপ পারফরম্যান্স চোখে পড়লে কোড অপ্টিমাইজেশানের দিকে নজর দিন। ভুলগুলি খুঁজে বের করে আবারো সবকিছু সঠিকভাবে কাস্টমাইজড করুন। 


৭. ব্যবহারের কারণে মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ নষ্ট করে এমন অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে যাবেন না। এতে করে অ্যাপ ডেভেলাপ ক্যারিয়ারে এর বাজে ইমফ্যাক্ট পড়বে। 


৮. পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ছাড়া কখনোই মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির ভালো পজিশনে জব করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না৷ 


৯. নিউ অ্যাপ ডেভেলপার এবং ডিজাইনারদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা সবসময় অ্যাপে অনেক বেশি ফিচার যোগ করার চেষ্টা করুন। এতে করে অ্যাপ অনেক বেশি ইউজার-ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠবে৷ 


১০. মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখতে গিয়ে বাজেটের দিকে নজর না দেওয়াই উচিত। কারণ এই স্কিল ডেভলপ করার ক্ষেত্রে বাড়তি বাজেটের ব্যবস্থা রাখাটাই স্বাভাবিক। 


ইতি কথা

আশা করি এরপর থেকে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার পথে আর নতুন কোনো বাধার সম্মুখীন হবেন না। মনে রাখবেন এই ডিজিটাল যুগে হাই ডিমান্ডের স্কিল ডেভলাপ করে রাখাটা জরুরি। এক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার বিষয়টিও মোটেও ফেলনা নয়। 

Previous Post Next Post

{ads}