ads

 আজ থেকেই মেনে চলুন ইউনিকভাবে মোবাইলের নেশা দূর করার উপায়

আজকাল অনলাইনের যুগে নিজেকে এবং নিজের শিশুকে মোবাইলের নেশা থেকে দূরে রাখাটা যেনো যুদ্ধ জয়ের মতো কঠিন কাজ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমা জনপ্রিয়তা যেনো এই পথকে আরো কঠিন করে তুলেছে। তবে সমস্যা যেখানে আছে। সমাধানও সেখানে আছে। চলুন তবে এই সমস্যার সমাধান হিসাবে মোবাইলের নেশা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 


আজ থেকেই মেনে চলুন ইউনিকভাবে মোবাইলের নেশা দূর করার উপায় কিভাবে মোবাইলের নেশা দূর করা যায়? আমরা কি ফোনে আসক্ত শিশু-কিশোরদের মোবাইল ফোনের নেশা দূর ক.jpg

সৃজনশীল কাজে সময় দিন

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা এই ধরণের সৃজনশীল কাজে অনেক বেশি পারফর্ম করতে চায়। তবে আপনি চাইলে এই সৃজনশীলতাকে মোবাইলের নেশা দূর করার উপায় হিসাবে কাজে লাগাতে পারেন। 


এক্ষেত্রে বোর্ড গেম খেলা বা পরিষ্কার করা, রান্না বা বাগান করা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোর্সর মতো বেশকিছু ইউনিক কাজের সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া পড়াশোনা করা, লেখালেখি করা, ছবি আঁকা, জার্নালিং করা ইত্যাদিও বেশ ভালো এবং কোয়ালিটিফুল সৃজনশীল কাজ বলে আমি মনে করি। 


মন খারাপ হলে মোবাইল হাতে নিবেন না

আজ আমরা মোবাইলের নেশা দূর করার উপায় নিয়ে লিখতে বসেছি ঠিকই। কিন্তু আজ যদি মন ভালো থাকার পরিবর্তে মন খারাপ থাকতো, তবে আমি দ্রুত মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রলিং করতাম! যাইহোক! এই অভ্যাসটি কিন্তু খুবই খারাপ। যার প্রভাব সরাসরি আমাদের মন-মানসিকতার উপর গিয়ে পড়ে। 


মন ভালো করতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার পরিবর্তে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন, মেকআপ করতে পারেন, পরিবারের সদস্যদের সাথে ভালো সময় কাটাতে পারেন, বাগানে গিয়ে নিজের মতো কিছু সময় উপভোগ করতে পারেন। দেখবেন মোবাইল ফোনের ব্যবহার ছাড়াই বা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রলিং করা ছাড়াই আপনার মন বেশ ফুড়ফুড়ে হয়ে গেছে। 


রুটিন তৈরি করুন

বিষয়টা কিছুটা বিরক্তিকর মনে হলেও মোবাইলের নেশা দূর করার উপায় হিসাবে নিজেই একটা রুটিন বানিয়ে তা ফলো করতে পারেন। প্রথম ২/৩ সপ্তাহ এভাবে রুটিন মেনে মোবাইল চালাতে পারলে পরবর্তীতে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। যাদের বিষয়টা বা রুটিনটা মনে থাকবে তারা মনে মনে রুটিন রেখে দিতে পারেন। আর যাদের মনে হচ্ছে সময়গুলি মনে থাকবে না, তারা শর্ট নোট করে রাখতে পারেন। আশা করি কাজে দেবে। 


ভ্রমণের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না

আজকাল অনেকেই মোবাইল ফোনের প্রতি নেশার চক্করে পড়ে মোবাইলের নেশা দূর করার উপায় এপ্লাই করা তো দূরে থাক, ভ্রমণের সময়টুকুতেও ফোনকে হাত থেকে রাখতে চান না। যা বেশ খারাপ অভ্যাস।


যারা মোবাইল এর প্রতি নেশাকে কমিয়ে আনতে চান তাদের উচিত অন্তত ভ্রমণের সময় ফোন হাতে না নেওয়া। কারণ ভ্রমণের সময়টুকু পুরোপুরি উপভোগ করা উচিত।


অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলি ডিলিট করে দিন

যখনই কেউ একটি নতুন স্মার্টফোন সেট আপ করে, তখনই বিভিন্ন প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডাউনলোড করে ফেলে। এসব অ্যাপের নেশায় পড়েও অনেকেই সারাদিন ফোন নিয়ে পড়ে থাকে।


সুতরাং মোবাইলের নেশা দূর করার উপায় হিসাবে আপনাকে ফোনের সব অদরকারি অ্যাপ ডিলিট করতে হবে। বিশেষ করে অপ্রয়োজনীয় গেম অ্যাপস ডিলিট করতে পারলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। 


বিছানায় ফোন ব্যবহার করবেন না

ঘুমাতে যাওয়ার সময় সাথে করে ফোনকে বিছানায় নিয়ে যাবেন না। বিশ্বাস করুন মোবাইলের নেশা দূর করার উপায় হিসাবে এই টেকনিকটি ফলো করতে পারলে আপনার ফোনের নেশা অনেকটা কেটে যাবে এবং আপনি আরো অনেকবেশি প্রোডাক্টিভ হয়ে উঠার সুযোগ পাবেন। 


লক অ্যাপ ব্যবহার করার অভ্যাস করুন

আজকাল গুগলে অনেক লক অ্যাপ পাওয়া যায়। এসব অ্যাপের বৈশিষ্ট্য হলো এসব অ্যাপ ফোনে থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ফোন লক থাকবে। হাজার চেষ্টা করলেও এসব লক ওপেন করা যাবে না। 


সুতরাং মোবাইলের নেশা দূর করার উপায় হিসাবে Google Play Store থেকে ActionDash, StayFree – Screen Time Tracker, YourHour – Phone Addiction Tracker, ইত্যাদি অ্যাপের যেকোনো একটি অ্যাপ নামিয়ে তা ব্যবহার করা শুরু করে দিতে পারেন। 


ইতি কথা

যেকোনো ক্যাটাগরির মানুষের উপরই মোবাইল ফোনের নেশা বেশ ক্ষতিকর। সুতরাং আমাদের সবাইকে নিজেদের এবং প্রিয়জনদের রক্ষা করতে প্রয়োজন মোবাইলের নেশা দূর করার উপায় মেনে চলা এবং প্রয়োজন না পড়লে মোবাইল ফোন হাতে না নেওয়া। 



Previous Post Next Post

{ads}