ads

 মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার সম্পর্কিত কমপ্লিট গাইডলাইন 

যেকোনো অ্যাপ ডিজাইন করার সময় ডিজাইনারেরা ডিভাইসের সাইজ এবং ক্যাটাগরিকে মাথায় রাখে। সেই সাথে মাথায় রাখে এর ক্যাপাসিটি কতটুকু সে বিষয়টিও। এক্ষেত্রে ডিজাইনেরা সকল অ্যাপ সব ধরণের ডিভাইসে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে। বিভিন্ন ধরণের মোবাইল ঘড়িতে থাকা অ্যাপের ক্ষেত্রেও বিষয়টি এক।

মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার   মোবাইল ঘড়ি সেটিং মোবাইল ঘড়ি ভিডিও মোবাইল ঘড়ি দাম কত Image of মোবাইল ঘড়ি ছবি মোবাইল ঘড়ি ছবি Image of টাচ মোবাইল ঘড়ি টাচ মো.jpg


ডিজাইনারেরা চায় যেনো তাদের অ্যাপ সকল ধরণের ডিভাইসে ইনস্টল করে সকল ইউজারেরা ব্যবহার করতে পারে। তাদের এই আপ্রাণ চেষ্টা চলে ডিভাইস হিসাবে মোবাইল ঘড়ির উপরও চলে। সুতরাং চলুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার সম্পর্কিত কমপ্লিট গাইডলাইন। 


১. অ্যাপগুলিকে সাজিয়ে রাখুন

অ্যাপ ব্যবহার করার সময় একজন ব্যবহারকারীর সবসময় যেনো ইজি ফিল করে সে ব্যবস্থা নিয়েই মোবাইল ঘড়ির স্ক্রিনে অ্যাপ সাজাতে হবে। স্মার্টওয়াচের সেরা অ্যাপ হিসাবে যেসব অ্যাপ স্ক্রিনে না রাখলেই নয় এবং যেসব অ্যাপ ব্যবহার করা ইজি কেবল সে-সব অ্যাপই রাখুন। মোট কথা আপনার অ্যাপের ইউজার ইন্টারফেসটি সবসময় পরিষ্কার এবং সহজ রাখুন। 


২. পরিষ্কার ফন্ট ব্যবহার করুন

যেহেতু মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার করার সময় স্ক্রিন ছোট মনে হতে পারে সেহেতু পরিষ্কার এবং সহজে পড়তে পারা যায় এমন ফন্ট ব্যবহারের দিকে ফোকাস করুন। বিশেষ করে ফন্টের আকার এবং ব্যবধানের দিকটা মাথায় না রাখলেই নয়। মূলত পরবর্তীতে ব্যবহারকারীকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার করতে সাহায্য করবে এই পরিষ্কার এবং ক্লিয়ার ফন্ট ব্যবহার করার বিষয়টি। 


৩. সময় এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

অনেকেই ফোনের স্ক্রিনে বিভিন্ন তথ্য বা প্রতীক রাখতে পছন্দ করেন। মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার করার সময়ও এমনটা করা যাবে। তবে আপনার ডিভাইসের ইউজার ইন্টারফেসটিতে ব্যবহার করতে হবে সহজ, কম এবং পড়া যায় এমন তথ্য। 


মনে রাখবেন যেকোনো মোবাইল ঘড়ি কিন্তু কোনো মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ নয় যে ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত তথ্য বা ডিজাইন করলেও তা ব্যবহারের সময় কোনো ঝামেলায় ফেলবে না। যেহেতু এটি একটি মোবাইল ঘড়ি সেহেতু সবদিক ঠিক রেখে শখের তোলা আশি টাকাকে গুরুত্ব দিতে হবে। 


৪. পাওয়ার কখনো হাই রাখবেন না

আপনি যদি মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার করার সময় ইউজার অপশন হিসাবে ambient mode পছন্দ করেন তবে অ্যাপের লেআউটকে সবমসময় basic মুডে রাখার চেষ্টা করুন। এতে করে ডিভাইসে চার্জের প্রয়োজনটা একটু কম পড়বে এবং অনেকদিন ধরে তা ব্যবহার করতে পারবেন। 


মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার এর সুবিধা 

যারা এখনো মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার করছেন না, আর্টিকেলের এই অংশটি কেবল তাদের জন্যে৷ চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কেনো আপনার এই মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার করা উচিত: 


নোটিফিকেশন: মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার করার সময় ব্যবহারকারীরা যে বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করে বলে আমি মনে করি, সেই বিষয়টি হলো এর নোটিফিকেশন। হাতে থাকা ঘড়িতে টুক করে হাজির হওয়া নোটিফিকেশনটি দেখতে কিন্তু কষ্ট করে মোবাইল ফোনের মতো ডিভাইস ওপেন করতে হয় না। যা বেশ মজার! 


ব্যাটারি লাইফ: সাধারণ ডিভাইসের তুলনায় মোবাইল ঘড়ির ব্যাটারি লাইফ অনেক বেশি সময়ে হয়ে থাকে। কারণ মোবাইল ঘড়িকে বেশ ছোট স্ক্রিন আকারে তৈরি করা হয়েছে। তাই মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার করার সময় অল্প স্ক্রিনই ব্যবহার করতে হয়। যা দিনশেষে ব্যাটারিকে অনেকদিন ভালো থাকতে সাহায্য করে। 


ফিটনেস: যারা সবসময় ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করেন তারা মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার করে দারুণ উপকৃত হতে পারেন। কারণ আজকাল মোবাইল ঘড়িতে ফিটন্যাস সম্পর্কিত বিভিন্ন ট্র্যাকিং টাইপের অ্যাপ রয়েছে। যার নোটিফিকেশন আপনাকে দৌঁড়াতে, ব্যায়াম করতে বা ডায়েট করতে সাহায্য করবে। 


বিজনেস: যারা মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার করেন তারা এর সুবিধা ব্যবসার ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করতে পারবেন। বিশেষ করে যারা অনলাইন বিজনেস করেন তাদের ব্যাপারে একেবারে না বললেই নয়! অনলাইন বিজনেসের ক্ষেত্রে হুটহাট বিভিন্ন ম্যাসেজ আসে, নোটিফিকেশন আসে, বিভিন্ন তথ্য বা ডিল চেক করতে হয়। এক্ষেত্রে দ্রুত খবর পেতে ইজিলি মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে। 


ইতি কথা

আশা করি আমাদের আজকের এই মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার সম্পর্কিত কমপ্লিট গাইডলাইন নিয়ে সাজানো আর্টিকেলটি আপনাকে কিছুটা হলেও উপকৃত করবে। আর যারা মোবাইল ঘড়ি ব্যবহার করে থাকেন তারা যদি উপরোক্ত টিপসগুলি ভালোভাবে ফলো করতে পারেন তবে এটির ব্যবহার টেকনিক নিয়ে আর কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না। 


Previous Post Next Post

{ads}