আপনি কি জানেন নিয়মিত মোবাইল রিসেট করার অনেক উপকারিতা রয়েছে? এই সিস্টেমটি আপনার ফোনকে সবসময় সুরক্ষিত রাখবে এবং ফোনের যে স্লো হয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে তা থেকে আপনাকে স্বস্তি দেবে। আমাদের আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিকে সাজানো হয়েছে মোবাইল ফোন রিসেট সম্পর্কিত সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি দ্বারা। এতে থাকছে মোবাইল ফোন রিসেট কি, মোবাইল ফোন রিসেট করার উপকারিতাগুলি কি কি, মোবাইল রিসেট দেয়ার নিয়ম কি কি এবং মোবাইল রিসেট দিলে কি হয়…এই টাইপের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর। সুতরাং আমাদের সাথেই থাকুন।
মোবাইল ফোন রিসেট কি?
শুরুতেই আমরা আলোচনা করবো মোবাইল ফোন রিসেট কি বা এর পরিচিতি সম্পর্কে। মূলত মোবাইল ফোন রিসেট বলতে মোবাইলের হার্ড রিসেট বা ফ্যাক্টরি ডেটা রিসেট সিস্টেমকে বোঝানো হয়ে থাকে। এই সিস্টেমটি ফলো করলে সংশ্লিষ্ট ফোনের ফ্ল্যাশ স্টোরেজ থেকে সমস্ত ডিভাইস সেটিংস পরিবর্তিত হয়ে যায়। যাইহোক! মোবাইল ফোন রিসেট করার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
মোবাইল ফোন রিসেট করার উপকারিতা
যেকোনো মোবাইল ফোনে একটি হার্ড রিসেট বা ফ্যাক্টরি ডেটা রিসেট করার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। এগুলি হলো:
প্যাটার্ন লক: মোবাইল ফোন রিসেট করার উপকারিতা
ধরুন আপনি আপনার মোবাইল ফোনে প্যাটার্ন লক কোড এবং পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করতে চান। কিন্তু পুরোনো কোড বা পাস কোনোভাবেই আপনার মনে পড়ছে না। আবার অন্যকারো ফোনের প্যাটার্ন লক কোড এবং পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করতে চাচ্ছেন। যা করার ক্ষেত্রে পুরোনো কোড বা পাস প্রয়োজন।
এক্ষেত্রে হার্ড রিসেট বা ফ্যাক্টরি ডেটা রিসেট করার পরে আপনি আপনার ফোনে আবারো কোড বা পাস রিসেট করার সুযোগ যাবেন। এক্ষেত্রে পুরোনো কোড বা পাস জানার কোনো প্রয়োজন পড়বে না। শুধুমাত্র মোবাইল ফোন রিসেট করলেই কাজ হয়ে যাবে।
ডাটার নিরাপত্তা: মোবাইল ফোন রিসেট করার উপকারিতা
মোবাইল ফোন রিসেট করার উপকারিতা হিসাবে ডাটার নিরাপত্তার বিষয়ে একেবারে কিছু না বললেই নয়। প্রত্যেকের মোবাইল ফোনেই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড, পিন নম্বর, ক্রেডিট কার্ড, ফটো এবং আরও অনেক ডাটা থাকে।
যদি কখনো আপনার মনে হয় আপনি আপনার মোবাইল ফোনটিকে কাউকে ব্যবহার করার জন্য দেবেন বা সেল করে দেবেন সেক্ষেত্রে এই সমস্ত মূল্যবান তথ্য মুছে ফেলার উপায় হিসাবে মোবাইল ফোন রিসেট করতে পারেন। মোবাইল রিসেট করলে একসাথে এসমস্ত তথ্য মুছে যাবে। আপনাকে আর আলাদা করে মুছতে হবে না।
হ্যাং-জনিত সমস্যা: মোবাইল ফোন রিসেট করার উপকারিতা
যেকোনো স্মার্টফোনের সবচেয়ে বিরক্তিকর সমস্যা হলো ফোন হ্যাং হওয়ার সমস্যা। হয়তো আপনি আপনার প্রিয় অ্যাপটি ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন এবং সেই সময়েই ফোন হ্যাং হয়ে গেলো! অথবা ফোনে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ করছেন, সেই সময়টাতেই ফোন হ্যাং হয়ে গেলো!
এমন পরিস্থিতি আর দেখতে না চাইলে মোবাইল ফোন রিসেট করুন। মোবাইল ফোন রিসেট করলে আপনার অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসগুলি ডিলিট হয়ে যাবে, RAM খালি হয়ে যাবে এবং ফোন আগের চাইতে আরো অনেকবেশি স্পিডে চলবে।
নতুনত্ব: মোবাইল ফোন রিসেট করার উপকারিতা
মোবাইল ফোন রিসেট করার উপকারিতা হলো ফোন সাথে নিয়ে নতুন কোনো যাত্রা শুরু করার সুযোগ। বিভিন্ন সমস্যার কারণে আপনারা যারা আপনাদের ফোন বিক্রি করার চেষ্টা করছেন তারা ফোন বিক্রি না করে ফোন রিসেট করতে পারেন। এতে করে ফোনের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং ফোনটিকে একেবারে নতুন ফোনের মতো মনে হবে।
নেটওয়ার্ক: মোবাইল ফোন রিসেট করার উপকারিতা
অনেক সময় বিভিন্ন ফোনে সবসময়ের মতো পোর্টেবল ওয়াইফাই হটস্পট সেটআপ সমস্যা লেগেই থাকে। যার ফলে অনেকেই সঠিকভাবে স্মার্টফোনে পাওয়া ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধাটুকু ভোগ করতে পারে না। যারা দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছেন এবং কিছুতেই কিছু হচ্ছে না তারা মোবাইল ফোন রিসেট করতে পারেন। আশা করি নেটওয়ার্কজনিত সকল সমস্যা ফোন থেকে বিদায় নেবে৷
মোবাইল রিসেট দেয়ার নিয়ম
মোবাইল ফোন রিসেট দিতে শুরুতে মোবাইল সেটিং অপশনে যেতে হবে। সেখান থেকে BACKUP AND RESETঅপশনে ক্লিক করলেই FACTORY DATA RESET অপশন পেয়ে যাবেন। যা ব্যবহার করে সহজেই যেকোনো ফোনের রিসেট করার কাজ সেরে নেওয়া যাবে।
সবশেষে RESET DEVICE অপশনে ক্লিক করে OK বাটনে ক্লিক করলেই কাজ শেষ। দেখলেন তো মোবাইল রিসেট দেয়ার নিয়ম ঠিক কতটা সহজ। আপনিও আপনার ফোনের ভালো সার্ভিস চাইলে আজই মোবাইল ফোন রিসেট দিন।
ইতি কথা
আশা করি মোবাইল ফোন রিসেট করার উপকারিতা বা মোবাইল রিসেট দেয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাতে পেরেছি। সুতরাং আজ থেকে নিজের ফোনে নিয়মিত রিসেট করুন। মোবাইলকে ফ্রেশ রাখুন এবং ব্যাটারিকে দিন নতুন জীবন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।