দক্ষিণ কোরিয়ায় বিদেশী কর্মী নিয়োগে থাকছে নতুন নিয়ম
বিদেশী কর্মী নিয়োগে পরিবর্তন এনেছে দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়া মিউজিকের দেশ হলেও এই দেশে বাংলাদেশের অনেক প্রবাসীরাই কাজ করে থাকে।
কেমন হয় যদি দক্ষিণ কোরিয়াতে শ্রমিক ও মালিক উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি কমাতে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা হয়?
যেখানে মালিক শ্রমিক উভয়ই সব তথ্য লিপিবদ্ধ করতে পারবে! আবার পরে কোম্পানি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অথবা মালিক নতুন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের কোম্পানির পুরো ইতিহাস জানতে পারবে যেকেউ!
ঠিকই এমনই সিস্টেম শুরু হতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়াতে।
শুধু তাই নয়। এর পাশাপাশি একই কোম্পানিতে ২ বছরের অধিক সময় ধরে কাজ করলে এবং কাজ সম্পর্কিত দক্ষতার সার্টিফিকেট অর্জন করলে দেশে না গিয়ে একটানা ১০ বছর কোরিয়াতে কাজ করার সুযোগ পাবেন যেকোনো দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী।
আর যারা দক্ষিণ কোরিয়াতে গিয়ে চাকরি খুঁজে নিবেন বলে ভাবছেন তাদের নিজ যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী চাকরি খোঁজার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য পূর্বে দক্ষিণ কোরিয়াতে অনেক দিন কাজ করার কোনো সুযোগ ছিলো। এতোদিন একজন দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী হিসাবে যেকোনো ব্যাক্তি ৪ বছর ১০ মাস পর নিয়ম অনুয়ায়ী কোরিয়া ছেড়ে দেওয়ার নিয়ম ছিলো।
তবে বর্তমানে তা শিথিল করে নতুন নিয়ম করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও কর্মী সংকট দূর করতেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয়।
এই ধরণের নিয়মের পাশাপাশি বিভিন্ন সহযোগী নিয়মকানুনের অংশ হিসাবে অনেক পয়েন্টই গত শুক্রবার দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় এক নোটিশে প্রকাশ পেয়েছে।
এক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কোনো প্রবাসীকর্মী কোম্পানি পরিবর্তন করতে চাইলে তা সহজেই করতে পারবে। তবে তার আগে নিশ্চিত করতে হবে পুরোনো মালিকের নামে কোনো অভিযোগ আছে কিনা।
যদি না থাকে সেক্ষেত্রে সেই মালিক কোরিয়ান বা প্রবাসী কর্মী নিয়োগ করতে পারবে সহজেই!
সংশ্লিষ্টজনেরা বলছে দেশের ‘ব্লু-কালার জবস’ খাতে উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা কর্মী সংকট কাটাতে এই সিদ্ধান্ত বা নীতিমালাগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
বলে রাখা ভালো মূলত আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে ইলেকট্রিশিয়ান (বিদ্যুৎমিস্ত্রি), প্লাম্বার (পাইপমিস্ত্রি), দমকলকর্মী, ভবন নির্মাণের কাজ, টেকনিশিয়ান, মেকানিক, ট্রাক ড্রাইভিং প্রভৃতি কাজই হলো ‘ব্লু-কালার জবস’ এর অংশ বা ব্লু কালার জবস।
পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ কর্মী থাকার কারণে গত কয়েক বছর ধরেই কোনো শ্রমিকের প্রতি আগ্রহ না দেখালেও বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া শ্রমিক আমদানিতে মনোযোগ দিচ্ছে।
সুতরাং আপনিও চাইলে এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন।
পূর্বে বিশেষ করে ২০২০ সালে বিভিন্ন কোটায় মাত্র ১ হাজার বিদেশি কর্মীকে ভিসা প্রদান করা হলেও আশা করি বর্তমানে বিরাট একটি প্রবাসী অংশ দখল করবে দক্ষিণ কোরিয়া।