ads

 আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য 

একজন বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী কিংবা স্কুল লাইফ শেষ করে আসা প্রতিটি ব্যাক্তিরই জানা প্রয়োজন। সাধারণত আমাদের বিদ্যালয় শিরোনামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণীর পরীক্ষাতে রচনা লেখার বিষয়টি থাকে৷ এক্ষেত্রে বিদ্যায়লের পরিচিতসহ আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জানা থাকলে পুরো প্রক্রিয়াটি সহজ হয়। 

আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য-আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ৫টি বাক্য-বিদ্যালয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য.jpg

আমাদের বিদ্যালয় পরিচিতি?

আমাদের বিদ্যালয়ের নাম হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয় এবং তেঁজগাওয়ের একটি বিদ্যালয় হিসাবে দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করে আসছে।

আমাদের বিদ্যালয়ে মূলত শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালিত হয় ২ টি শিফটে। এই ২ টি শিফটে সর্বমোট প্রায় ১৮০০ জন ছাত্রী পড়াশোনা করছে। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীই বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের যেকোনো একটি পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়ে থাকে৷

আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নাম রাণী ক্যাথরিন গোমেজ। তার তত্বাবধানে আমাদের বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী হতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

আমাদের বিদ্যালয়টিতে লাল এবং ধূসর রং এর ড্রেস কোড রয়েছে৷ 

আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

পয়েন্ট আকারে আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জেনে রাখলে তা যেকোনো রচনা বা উপস্থিত বক্তৃতাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক বিষয়ের সাথে যুক্ত করা যায়। যেমন: 

আমাদের বিদ্যালয়ে পড়াশোনা সঠিকভাবে পরিচালনার পাশাপাশি শিক্ষামূলক ছবি প্রদর্শনী, সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়ে থাকে৷ 

আমাদের বিদ্যালয়টি একটি বালিকা বিদ্যালয়। যেখান থেকে প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষিত নারী বের হয়ে থাকে। 

ক্যাম্পাসে থাকা বড় মাঠ, শিক্ষকদের সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব সবকিছু মিলেই আমাদের বিদ্যালয়টি হয়ে উঠেছে সুন্দর পরিবেশের মানসম্মত প্রতিষ্ঠান। 

আমাদের বিদ্যালয়টি একটি বেসরকারি বিদ্যালয়। তবে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষাসপ্তাহ উদযাপন, একটি বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশ, সেমিনার এর আয়োজন এবং বার্ষিক শিক্ষা সফরের আয়োজনও করা হয়ে থাকে। 

প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৫৭ জনেরও বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা পাঠদান করে আসছেন। 
এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৫১ সালে এবং বর্তমানে এখানে ১৮০০ জন ছাত্রী পড়াশোনা করছে। 

এই স্কুল চত্বরের এলাকা প্রায় ৩২,০০০ বর্গফুটের মতো। 

এই প্রতিষ্ঠানে থাকা ৫,০০০ পুস্তকসম্বলিত একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, সম্পূর্ণ সজ্জিত ৪টি গবেষণাগার, দুটি কম্পিউটার ল্যাব, একটি মিলনায়তন এবং দুটি খেলার মাঠ বিদ্যালয়টির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে৷ 

আমাদের বিদ্যালয়ে একসাথে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধদের পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। 

বরাবরের মতোই আমাদের বিদ্যালয়ে পাশের হার ১০০% এবং রেজাল্টের দিক থেকে ঢাকা বোর্ডে এটি মোটামুটি বেশ এগিয়ে থাকে। 

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

বিদ্যালয়ের কাজ কি?

বিদ্যালয়ের কাজ হলো একটি শিশুকে হাতে-কলমে অক্ষরজ্ঞান থেকে শুরু করে সাধারণ জ্ঞান এবং নীতি নৈতিকতার সাথে পরিচিত করে তোলা৷ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীগণ পাঠ্য পুস্তকের মাধ্যমে জ্ঞান অন্নেষণ করাই হলো যেকোনো বিদ্যালয়ের মূল কাজ এবং লক্ষ্যবস্তু। এক্ষেত্রে প্রয়োজন ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ। 

আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য কেনো জানবেন?

স্কুল পর্যায়ের বাংলা এবং ইংরেজি পরীক্ষাতে অনেক সময় আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কিত রচনা, বক্তৃতা কিংবা প্রতিবেদন লেখার প্রয়োজন পড়তে পারে। যা সাজাতে হলে প্রয়োজন এই আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জেনে রাখা। তাছাড়া যেকেনো বক্তৃতায় বিদ্যালয়ের স্মৃতিচারণেও দরকার নিজের বিদ্যালয় সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখা। 

উপসংহার

আমাদের বিদ্যালয়টি ১৯৯৭ এবং ২০০৩ সালে সেরা জাতীয় স্কুলের পুরস্কার অর্জন করে আসছে। আর এই শিক্ষা-কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে এই বিদ্যালয়ে নিযুক্ত থাকা ৫৭ জনেরও বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা। বিদ্যালয়ের বাড়তি সুবিধাদির মাঝে রয়েছে আবৃত্তি ক্লাব, কুইজ ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব এবং আর্ট ক্লাবসহ গার্লস গাইড, গার্লস স্কাউট এবং ইয়েলো বার্ড ইত্যাদি কর্মকান্ডের শিক্ষার্থীর যুক্ত করার মিশন। আশা করি উপরোক্ত আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য আপনার সন্তানকে যেকোনো প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে। 
Previous Post Next Post

{ads}