মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কি? মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায়?
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন হলো মূলত মোবাইল অ্যাপ। যেসবের সাহায্য ছাড়া কোনোভাবেই স্মার্টফোন ব্যবহার করা যায় না। অর্থ্যাৎ আপনি যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্য নিতে হবে। আশা করি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কি" তা বুঝতে পেরেছেন।অন্যদিকে "মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায়" সে বিষয়ে যদি জানতে চান তবে বলবো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে তা গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে ভালোই ইনকাম জেনারেট করা যায়।
তাছাড়া অনেকেই ডেভলাপার হায়ার করে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করিয়ে থাকে। এছাড়াও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে তাতে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেলের বিষয় তো থাকছেই।
মোটকথা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে বা এর সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন উপায়েই টাকা আয় করা যায়। চলুন আজ এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করি। জানার চেষ্টা করি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে আয় করার উপায় সংক্রান্ত বিভিন্ন টিপস, সমস্যা এবং এর সমাধান।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কি?
আপনি কি জানেন, কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস চালানোর জন্য হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার দুটোরই প্রয়োজন পড়ে? এক্ষেত্রে সফটওয়্যারকে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও বলা হয়ে থাকে। আর আমরা ব্যবহারকারীরা এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনকে সহজ শব্দের অ্যাপ বলে থাকি।
খেয়াল করলে দেখবেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় যেকোনো স্টেপেই কোনো না কোনো অ্যাপের প্রয়োজন পড়ছে৷ হোক সেটি লেখালেখি করা, কাউকে কল করা, ভিডিও দেখা, ছবি তোলা কিংবা অন্যান্য যেকোনো সাধারণ কাজ!
এসব অ্যাপ্লিকেশন কিন্তু আপনাআপনি পাওয়া যায়। এসব অ্যাপ সাধারণত অ্যাপ ডেভেলারদের সাহায্যে তৈরি করিয়ে নেওয়া হয়। বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে যেসব ভুল করা যাবে না
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট কি বা এটি কিভাবে শিখতে হয় সে-সম্পর্কে তো জানলেন। চলুন এই সেক্টরের কমন কিছু ভুল সম্পর্কে আলোচনা করা যাক:
বিভিন্ন অ্যাপ মেকার ব্যবহার করে অ্যাপ তৈরি করা
কোডিং না শিখেই মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করা
কম বাজেট নিয়ে সবসময় মাতামাতি করা
MVP মানে মিনিমাল ভিঅ্যাবল প্রোডাক্ট তৈরি না করা
UI/UX design সেক্টরে স্কিল না থাকা
একসাথে অনেক প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে চাওয়া
FAQs
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে কি কি লাগবে?
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্ট শিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোডিংয়ের প্রতি আগ্রহী হতে হবে, পিসি বা ল্যাপটপ থাকতে হবে, বড় মনিটরের ব্যবস্থা করতে হবে, ভালো ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজন পড়বে এবং বিভিন্ন অ্যাপ সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। এসবকিছুর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই লেগে থাকার মন-মানসিকতা থাকতে হবে এবং আপনার মাঝে কাজ খুঁজে নেওয়ার টেকনিক জানা থাকতে হবে।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করে কত টাকা আয় করা যায়?
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করে আপনি কত টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন তা নির্ভর করবে আপনার কাজের ধরণ এবং কাজের পরিমাণের উপর। তাছাড়া তৈরিকৃত অ্যাপের বিভিন্ন ফিচার এবং জটিলতার উপরও এই টাকার পরিমাণটুকু নির্ভর করবে। তবে বাংলাদেশের মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী আপনি যেকোনো সিম্পল অ্যাপ তৈরি করতে ১৫,০০০/- বা তার বেশি টাকা চার্জ করতে পারবেন। আর এই সিম্পল কোনো অ্যাপ তৈরি করতে কমপক্ষে আপনার সপ্তাহ নাগাদ সময়ের প্রয়োজন পড়তে পারে। মোটকথা নিয়মিত ক্লায়েন্ট পেলে এবং ভালোভাবে চার্জ করতে পারলে ও সময় দিলে আপনিও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করে মাসে লাখ টাকার উপরে আয় করতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের কাজ কোথায় পাবো?
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্টের কোর্স করার পর যারা কাজ পাচ্ছেন না তারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে সবসময় একটিভ থাকার চেষ্টা করুন। কারণ একটিভ থাকার কোনো বিকল্প নেই। সেই সাথে নিজের সিভি ও পোর্টফোলিও গুছিয়ে রাখুন। প্রয়োজনে সকল ক্যাটাগরির উপর একটি করে করে অ্যাপ তৈরি করে রাখুন (যদি সময থাকে)। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিজের সার্ভিসের মার্কেটিং করতে পারেন। কারণ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াও সার্ভিস সেলিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কোনটির মাধ্যমে স্মার্টফোনের অ্যাপ তৈরি করা হয়?
স্মার্টফোনের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে হলে আপনাকে ওয়েব - ভিত্তিক অ্যাপ তৈরির টেকনিক এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ নিশ্চিত করতে হবে। মূলত স্মার্টফোনের অ্যাপ তৈরি করতে হলে কোডিং হিসেবে এইচটিএমএল, সিএসএস বা জাভাস্ক্রিপ্ট জানতে হয়। কারণ স্মার্টফোনের অ্যাপ তৈরিকে এসব কোডিংই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বর্তমানে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে এই স্মার্টফোন অ্যাপ-সেক্টরই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ইতি কথা
আশা করি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কি এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায় সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পেরেছি। উপরোক্ত উপায়গুলি অনুসরণ করে আপনিও চাইলে সেরা একটি ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন।
যা আপনাকে ঘরে বসেই দারুণ এমাউন্ট আর্ন করার সুযোগ করে দেবে। যাইহোক! ভাবতে গিয়ে সময় নষ্ট করে কোনো কাজ নেই। আজই নিজের স্কিল তৈরি করে কাজে নেমে পড়ুন। আপনার জন্য রইলো শুভ কামনা। হ্যাপি আর্নিং!