ads

 আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

যাদের আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জানা আছে বা এ-ব্যাপারে সাজানো গোছানো বাক্য যাদের মাথায় আছে তাদের কাছে বাচ্চা পড়ানো, যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা অংশগ্রহণ করা এবং উপস্থাপন করার বিষয়টা বেশ সহজ মনে হয়। যা বলছিলাম, মূলত যে প্রতিষ্ঠানটি এক বা একাধিক ভবন তৈরি করে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করে সেই প্রতিষ্ঠানকেই বিদ্যালয় বলা হয়। 


আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য.jpg


শিক্ষা যেকোনো জাতির মেরুদণ্ড হওয়ায় কোনো দেশকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন একটি শিক্ষিত জাতি। আর এই শিক্ষিত জাতি তৈরির কারখানা হলো বিদ্যালয়। এর পাশাপাশি শিক্ষিত হবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থাকলেও বিদ্যালয়ের গুরুত্ব আলাদা। কারণ মানবশিশু প্রথম শিক্ষার চামচটুকু এখান থেকেই মুখে উঠে৷ সুতরাং আদর্শ বিদ্যালয় এক-একটি আশ্রমবিশেষ হওয়ার কারণেই প্রতিটি বিদ্যালয়কে হতে হবে মানসম্মত এবং শিক্ষার পরিবেশবান্দব। 


আমাদের বিদ্যালয় পরিচিতি কি? 

শুরুতেই বিদ্যালয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা তত্ত্ব জানাতে চাই। মূলত সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব থাকে। ঠিক তেমনই সাধারণত তাত্ত্বিক জ্ঞান বিতরণ করাই হলো যেকোনো বিদ্যালয়ের মূল কাজ। যেসব বিদ্যালয় এই জ্ঞান শিশুদের মাঝে সঠিকভাবে প্রবেশ করাতে পারবে সে বিদ্যালয় থেকে একটি স্বশিক্ষিত জাতির ভিত তৈরি সহজ হবে। এবার আসি আমাদের বিদ্যালয়ের পরিচিতির ব্যাপারে। মূলত এখানে আমাদের প্রত্যয়টি ব্যবহার করে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের বিষয়টিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নিজের বিদ্যালয় সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি প্রদান করতে হবে। যেকোনো প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিদ্যালয় সম্পর্কিত বেশকিছু কমন তথ্য হলো বিদ্যালয়ের নাম, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পরিমাণ, বিদ্যালয়ের শিক্ষকের পরিমাণ, বিদ্যালয়ের পরিবেশ সম্পর্কিত তথ্য। অনেকেই মনে করেন বিদ্যালয় তৈরিতে অসংখ্য শিক্ষার্থী বা শিক্ষকের প্রয়োজন। তবে আসল তথ্য বা সিস্টেম হলো একজন শিক্ষক, কিছু পরিমাণ শিক্ষার্থী, এবং শিক্ষাসহায়ক পরিবেশই বিদ্যালয় হবার জন্য যথেষ্ট। 


আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

সাধারণত আমাদের বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় প্রথম শ্রেণী থেকেই। যা শেষ হয় দশম শ্রেণীতে উঠে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বিদ্যালয়ের গন্ডি থাকেন শিশু শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্তই। এরই প্রেক্ষিতে চলুন জেনে নেওয়া যাক আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য। 


  1. আমাদের বিদ্যালয়ের নাম হলো "বিদ্যালয়ের নাম"।

  2. আমাদের বিদ্যালয়ে সর্বমোট "শিক্ষার্থীর সংখ্যা" এবং "শিক্ষকের সংখ্যা" রয়েছে। 

  3. আমাদের বিদ্যালয়ে একটি বড় মাঠ রয়েছে। যা খেলাধুলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

  4. অন্যান্য বিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিদ্যালয়ে প্লেগ্রুপ, নার্সারি, কেজি ইত্যাদির সাথে সাথে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নের সুযোগ রয়েছে। 

  5. আমাদের বিদ্যালয়ে (শ্রেণীকক্ষের পরিমাণ) টি শ্রেণীকক্ষ রয়েছে এবং রয়েছে শিক্ষক ও প্রশাসনিক কক্ষ (শিক্ষক ও প্রশাসনিক কক্ষ) টি। 

  6. আমাদের বিদ্যালয়ে (পাঠাগারের নাম) নামে একটি বড় পাঠাগার রয়েছে। যেখানে বইয়ের সংখ্যা প্রায় (বইয়ের পরিমাণ) এর মতো। 

  7. বিশাল একটি ক্যাফেটেরিয়া (যদি থাকে) আমাদের বিদ্যালয়কে আরো অর্থবহুল করেছে। এতে করে বিদ্যালয়ে হালকা খাবারের চাহিদা মেটাতে বাহিরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। 

  8. প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণার্থে আমাদের বিদ্যালয় পুরো জেলায় বেশ বিখ্যাত। 

  9. আমাদের বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী হিসাবে (কৃতি শিক্ষার্থীর নাম) সারা বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়েছে। 

  10. আমি এবং আমার প্রতিটি সহপাঠী আমাদের বিদ্যালয়কে অনেক বেশি পরিমাণে ভালোবাসি। 


সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

আমাদের বিদ্যালয় রচনা কিভাবে লিখবো? 

তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর জন্যে এই আমাদের বিদ্যালয় রচনাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক। যা লেখার জন্যে আপনি সূচনা, পরিবেশ, বিদ্যালয় গৃহের বর্ণনা, ছাত্র-শিক্ষক সংখ্যা, সহপাঠ কার্যক্রম, বিদ্যালয়ের ফলাফল এবং উপসংহার নামের পয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে সম্পূর্ণ রচনায় পুরো বিদ্যালয়ের পরিচিতি ভালোভাবেই ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হবে। 


যেকোনো বিদ্যালয়ের পরিবেশ কেমন হওয়া উচিত?

বিদ্যালয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী কার্যালয়ের আকৃতি হতে হবে। সেই সাথে অলাদা বিশ্রাম কক্ষ, মিডডেমিল খাওয়ার স্থান, বিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ন অবস্থা ও নিরাপত্তা, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযােগ, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বাগান কিংবা মাঠ, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, চক, ডাস্টার গুলো তারা সামলে রাখার বাক্স থাকা জরুরি। 


উপসংহার

আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে ১০ টি বাক্যই নিজের বিদ্যালয়কে অন্যের কাছে সঠিকভাবে পরিচিত করানোর জন্যে যথেষ্ট। যারা প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণার্থে ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়ে পড়ছেন বা পড়েছেন তাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজের বিদ্যালয়ের পরিচিতি এবং ঠিকানা জেনে রাখা। সেই সাথে প্রাক প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক লেভেলের পাঠদানের আয়োজন করা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটও কিন্তু বিদ্যালয়ের আন্ডারে পড়ে। বিদ্যা বিতরণ ও গ্রহণের স্থান এই বিদ্যালয় তখনই অর্থবহুল হয়ে উঠে যখন তা শিক্ষক-শিক্ষার্থীতে পরিপূর্ণ থাকে। সেই সাথে শিক্ষার সঠিক পরিবেশ থাকাটাও জরুরি৷ 

Previous Post Next Post

{ads}