ads

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায়? 

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে কিভাবে আয়


আপনি যদি নিজেকে একজন মোবাইল অ্যাপ ডেভেলাপার হিসাবে তৈরি করতে পারেন, তবে আপনি সহজেই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেই ঘরে বসে ভালোই আর্নিং করার সুযোগ পাবেন।

যাইহোক আমরা ইতিমধ্যেই "মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কি" কিংবা "মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পরিচিতি" সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিয়েছি। পরিচিতিপর্ব যখন শেষ…তখন আয়ের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করাই যায়! চলুন তবে আর কথা না বাড়িয়ে এ-সম্পর্কিত আলোচনার মূল অংশে প্রবেশ করা যাক: 

অ্যাপ তৈরির সার্ভিস দিতে পারেন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে আপনি যদি ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে সহজ উপায় হিসাবে বিভিন্ন অ্যাপ তৈরির টেকনিক শিখে নিতে পারেন। যা আপনাকে একজন সফল অ্যাপ ডেভেলপার হিসাবে তৈরি করে তুলবে। 

একজন অ্যাপ ডেভেলপার বিভিন্ন ক্যাটাগরির অ্যাপ তৈরি করে থাকে। যেমন আর্নিং অ্যাপ, শপিং অ্যাপ ইত্যাদি। বর্তমানে অনলাইন জগতে এই কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যারা এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চান তারা দ্রুত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের উপর একটি কোর্সে জয়েন হয়ে যেতে পারেন। 

আর্নিং অ্যাপ তৈরি করুন

বর্তমানে আপনি যদি গুগল কিংবা অন্য যেকোনো সেক্টরে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার উপায় সার্চ করেন সেক্ষেত্রে বিভিন্ন অ্যাপের খোঁজ পাবেন। যেসব অ্যাপে জয়েন, মেম্বার এড করা বা ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে আয় করা যায়।

এসব অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে আপনিও এড শো করার মাধ্যমে ভালোই ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। আর্নিং অ্যাপের বিভিন্ন স্যাম্পল পেতে গুগলিং করুন বা সরাসরি গুগল সার্চ কনসোলে সার্চ করুন। 

স্পনসরশিপের ব্যবস্থা করুন

ধরুন আপনি একটি নির্দিষ্ট টপিকের উপর যেকোনো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করলেন। উক্ত টপিকের উপর বিভিন্ন ফ্রি বা পেইড সার্ভিসের ব্যবস্থাও রাখলে অ্যাপে। আপনার অ্যাপটি যদি ধীরে ধীরে গ্রো করতে থাকে এবং অ্যাপে যদি ইউজারসংখ্যা বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনি স্পনসরশিপের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার অ্যাপ ভালো হলে তারা নিজেরাই আপনার অ্যাপকে স্পনসরশিপের আওতায় আনবে। আর যারা আর্নিং এমাউন্ট নিয়ে ভাবছেন তাদের বলে রাখি এই কাজের পেমেন্টটুকু আপনি তাদের অ্যাড দেখানোর সময়সীমার উপর চার্জ করতে পারেন। 

পণ্য বিক্রি করতে পারেন

আপনার যদি নিজের কোনো বিজনেস থাকে এবং আপনি যদি এমন কোনো প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন, যা ঘরে বসেই সেল করা যাবে…সেক্ষেত্রে আপনি আপনার তৈরি করা বা তৈরি করিয়ে নেওয়া মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনকে কাজে লাগাতে পারেন। আপনি আপনার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটিকে একটি শপ-আকারে তৈরি করতে পারেন।

তাতে প্রোডাক্টের ডেসক্রিপশন থাকবে, প্রাইজ থাকবে, অনলাইন পেমেন্ট করার সুযোগ থাকবে। মোটামুটি একটি অনলাইন শপ টাইপের অ্যাপে যা থাকে তাই আপনার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটিতে নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় অনলাইন শপ প্ল্যাটফর্ম দারাজ বর্তমানেই তাদের অ্যাপের মাধ্যমেও অনেক টাকা আর্ন করছে। 

সার্ভিস বিক্রি করতে পারেন

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বর্তমানে অনেক কাজ রয়েছে। এসব কাজ করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন স্কিলের উপর এক্সপার্ট হতে হবে। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো সার্ভিস দিতে পারেন বা তার উপর নিজেকে দক্ষ মনে করেন সেক্ষেত্রে আপনার সেই দক্ষতাকে ঘিরেই একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আপলোড করতে পারেন।

এতে আপনার বায়ারেরা যাতে সহজেই আপনার কাছে তাদের প্রয়োজনীয় সার্ভিস অর্ডার করে তার ব্যবস্থা রাখবেন। সেই সাথে কন্টাক্ট ইনফো এবং অনলাইন পেমেন্ট করা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও দিয়ে রাখা প্রয়োজন। 

অ্যাপ বিক্রি করতে পারেন

যারা আমাদের আজকের এই "মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কি" সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়তে এসেছেন, তারা নিশ্চয় অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করার বিভিন্ন সুযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক রিসার্চ করে ফেলেছেন।

সেই সুবাদেই হয়তো আপনারা জানেন বর্তমানে বিভিন্ন রিচ হওয়া সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ভালো দামে সেল হচ্ছে। যেমন ইনস্টাগ্রাম আইডি, পেইজ, বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ এবং ভালো রিচ আছে এমন আইডিও আজকাল অনলাইনে বিভিন্ন দামে সেল হচ্ছে। 

আপনি জেনে খুশি হবেন বর্তমানে এভাবেই বিভিন্ন তৈরি করা এবং ভালো রিচ আছে এই টাইপের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও সেল হচ্ছে। এই ধরণের বায়ার পেতে সম্পর্কিত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট, গ্রুপ বা পেইজে সেল পোস্ট দিয়ে রাখতে পারেন। আশা করি বেশ দ্রুত অর্ডার পেয়ে যাবেন। 

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এভাবে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনকে তৈরি করে ধীরে ধীরে তা রিচ করে সেল করার বিষয়টি কিছুটা জমানো টাকা দিয়ে জায়গা কিনে পরে তা ভালো দামে বিক্রি করার মতো। আশা করি এই টেকনিক ফলো করতে পারলে আপনিও দিনশেষে ভালোই আর্নিংয়ের সুযোগ পাবেন।
 

অ্যাড রেভিনিউ সংগ্রহ করতে পারেন 

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো এই অ্যাপ রেভিনিউ। বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে যেমন এডসেন্স জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঠিক তেমনই বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে এডমোভ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

সাধারণত নির্দিষ্ট নিশের উপর এডমোভের পলিসি মেনে অ্যাপ তৈরি করে আপলোড করার পর আপনি এডমোভের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।

এডমোভ কতৃপক্ষ যদি মনে করে আপনার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তাদের পলিসির সাথে যাচ্ছে এবং সবকিছু ঠিক আছে তবেই তারা আপনার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে এড দেখানোর ব্যবস্থা করবে। যাদের এডমোভ রয়েছে এবং অ্যাপের ইউজার সংখ্যা দেখার মতো তারা মাসে এর মাধ্যমে ইজিলি ২/৩ লক্ষ টাকা ইনকামের সুযোগ পাবে। 

Tag: Make Money, Make Money Online, ইনকাম করার উপায়, মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
Previous Post Next Post

{ads}