ads

 ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়: ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে পাবেন 

সহজ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি এবারে চলুন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় সে-সম্পর্কে জানি। 


ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস পরিচিতি.jpg
ফ্রিল্যান্সিং শিখুন এবং আয় করুন ঘরে বসেই

স্কিল ডেভলপ করুন 

মূলত ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে আপনাকে যেকোনো একটি স্কিলে এক্সপার্ট হতে হবে। সেটি হতে পারে যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড কাজ। 


কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভলাপিংসহ অসংখ্য সেক্টরের মাঝে পছন্দের সেক্টরটিতে নিজেকে দক্ষ করে তুলুন। 


প্রো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে কি কি করতে হবে জানতে এখানে ক্লিক করুন 

পোর্টফোলিও রেডি করুন 

এরপর আপনাকে যেটি করতে হবে সেটি হলো পোর্টফোলিও রেডি করা। পোর্টফোলিও বলতে আপনি যে কাজ জানেন সেটির প্রমাণ রেডি করতে হবে। এক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইটে আপনার সকল কাজের প্রমাণ রাখতে হবে। 


যারা কন্টেন্ট রাইটিং করতে চান তারা গুগলে ডক ফাইলকে পোর্টফোলিও হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। আবার যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং জানেন তারা বিহ্যান্সে একাউন্ট খুলে নিজের করা সেরা ডিজাইনগুলি তুলে ধরতে পারেন। 


যারা ওয়েব ডেভেলপার হতে চান তারা নিজের তৈরি করা সেটা ওয়েবসাইটের লিংক রেডি রাখতে পারেন পোর্টফোলিও লিংক হিসাবে। 


মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করুন 

যখন পোর্টফোলি রেডি করে ফেলবেন তখন তার উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করবেন। ক্লায়েন্টরা যখন সার্কুলার দিবে বা তাদের প্রজেক্টের জন্য ফ্রিল্যান্সার চাইবে তখন বিড করবেন সাথে নিজের সেরা পোর্টফোলিও লিংক শেয়ার করবেন। 


আশা করি এভাবে স্টেপ বাই স্টেপ আগাতে পারলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজের কোনো অভাব হবে না। 


এক নজরে দেখে নিন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস লিস্ট বিডি 

এবার আমরা একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস লিস্ট বিডি দেখে নিবো। যেখানে থাকবে ২০ টি মার্কেটপ্লেস। এসব মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত এক্টিভ থাকতে পারলে ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং কাজের কোনো অভাব হবে না। 


আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

বিভিন্ন ধরণের ফ্রিল্যান্সিং কাজ পেতে আপওয়ার্ক ট্রাই করতে পারেন। বৈচিত্র্যময় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। প্ল্যাটফর্মটিকে আপনি চাইলে অ্যাপ হিসাবে বা ওয়েবসাইট হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। 


ফাইভার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

এটি একটি গিগ বেইজড ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনি ৫$ মূল্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রাইজের কাজ করতে পারবেন। এসব কাজ পেতে হলে আপনাকে গিগ পাবলিশ করতে হবে। 


ফ্রিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস 

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস লিস্ট বিডিতে ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসটিকেও রাখা যায়। এখানে কাজ করতে হলে আপনাকে বিড করতে হবে এবং কাজটি নিতে হবে। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন ডিজাইনের উপর কন্টেস্টের আয়োজন করা হয়। যেখানে অংশগ্রহণ করেও আর্ন করা যাবে। 


টপটায়ার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

বাংলাদেশীদের কাছে এটি খুব একটা জনপ্রিয় না হলেও এখানে অনেক ধরণের ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায়। বলে রাখা ভালো টপটায়ার ব্যবহার করলে কিন্তু দ্রুত কাজ পাওয়া যায়। কারণ এখানে অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের চাইতে তুলনামূলকভাবে কম কম্পিটিশন থাকে। 


গুরু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস 

এখানেও আপনি বিভিন্ন ধরণের ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাবেন। সেই সাথে পাবেন ভালো ওয়ার্করুম। যেখানে কাজ করতে পারলে বেশ ভালো একটা ফিল আসবে। 


পিপল-পার-আওয়ার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

পিপল-পার-আওয়ার হলো একটি আওয়ার-বেইজড প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনাকে ঘন্টা মেইনটেইন করে কাজ করতে হবে। আপনি যত ঘন্টা কাজ করবেন ঠিক তত পরিমাণ পেমেন্ট পাবেন৷ এক্ষেত্রে পছন্দ অনুযায়ী বা স্কিল অনুযায়ী কাজ বাছাই করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। 


নাইন্টি-নাইন ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস 

নাম শুনেই নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন এটি একটি ডিজাইন রিলেটেড ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস! এখানে কাজ করতে হলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এক্সপার্ট হতে হবে। আর হ্যাঁ এখানে আপনি লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, কভার ফটো ডিজাইন, এনিমেশন, ভিডিও এডিটিংসহ বিভিন্ন ডিজাইনিং রিলেটেড কাজ পাবেন। 


সিম্পলি হায়ারড ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস 

সিম্পলি হায়ারড হলো কিছুটা প্রফেশনাল টাইপ মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনি মূলত মান্থলি ব্যাসিসে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলি বেশি পাবেন। যেমন পেইজ ম্যান্টেইন করি, ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করা ইত্যাদি। 


ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে এখানে ক্লিক করুন 


আশা করি এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস লিস্ট বিডি থেকে পছন্দের মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত সময় দিলে দ্রুত কাজ পাবেন। তবে মনে রাখবেন মার্কেটপ্লেসে যাওয়ার আগে ভালোভাবে রিসার্চ না করে নিলে ডিপ্রেসড হতে হয়। সুতরাং কোন মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজ পাওয়া যায় তা রিসার্চ করে তবেই সেখানে সময় দিন। 


ফ্রিল্যান্সিং কাজ কিভাবে পাবো?

কেবল ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ বা মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানলে হবে? পাশাপাশি জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ কিভাবে পাওয়া যায় সে-সম্পর্কিত টিপস। সুতরাং চলুন আর্টিকেলের এই অংশে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানি। 


স্ট্রং প্রোফাইল তৈরি করুন 

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ভালো প্রোফাইল তৈরি করুন। প্রফেশনাল বায়ো ব্যবহার করুন এবং প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করুন। যেখানে আপনার ছবি, রিয়েল নামসহ আপনার সম্পর্কিত সকল রিয়েল তথ্য থাকবে। 


স্কিল এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরুন

কাজ পেতে হলে অবশ্যই মানুষকে বোঝাতে হবে যে আপনি কাজ জানেন। এক্ষেত্রে আপনার যত স্কিল আছে সব তুলে ধরুন। আর যদি অভিজ্ঞতা থাকে সেটিও তুলে ধরতে ভুলবেন না কিন্তু। কারণ আজকাল যেকোনো জবে অভিজ্ঞতাকে বেশ গুরুত্বের সাথে ধরা হয়ে থাকে।  


সার্টিফিকেট সংগ্রহ করুন 

কোর্স ফ্রি-তে করুন কিংবা টাকা দিয়ে, সার্টিফিকেট কালেক্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু। কারণ আপনার পোর্টফোলিওর সাথে যদি ভালো সার্টিফিকেট থাকে তা আপনাকে যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড কাজ দ্রুত পেতে সহায়তা করবে। তাছাড়া উক্ত সার্টিফিকেট প্রমাণ করবে আপনি এপ্লাই করা ফ্রিল্যান্সিং কাজে যথেষ্ট এক্সপার্ট। 


সঠিক প্রাইজ সেট করুন

সবসময় কাজের রিয়েলিস্টিক প্রাইজ সেট করবেন। মার্কেটে যে প্রাইজ চলছে সেই প্রাইজের চাইতে অনেক কম কিংবা বেশি পরিমাণে প্রাইজ ট্যাগ কখনোই ইউজ করবেন না। অতিরিক্ত কম হলে আপনার পোষাবে না আবার অনেক বেশি হলে আপনি অন্যদের তুলনায় খুব একটা কাজ পাবেন না। সুতরাং রিসার্চ করে রিয়েলিস্টিক প্রাইজ সেট করুন। 


স্টেপ ফলো করে এগিয়ে যান 

স্টেপ ফলো না করে উল্টাপাল্টা স্ট্র্যাটিজি কাজে লাগাতে যাবেন না। যে মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই মার্কেটপ্লেসে বেশি সময় দিন এবং এক্টিভ থাকুন। শুরুতে যেকোনো একটি সেক্টরে ফোকাস করতে পারলে এতে দ্রুত সফলতা লাভ করবেন। 


মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে ইনকাম করতে এখানে ক্লিক করুন 


যখন দেখবেন মোটামুটি ক্লায়েন্ট পাচ্ছেন তখন উক্ত মার্কেটপ্লেসের পাশাপাশি অন্য আরেকটি মার্কেটপ্লেসকে টার্গেট করবে। এভাবে টার্গেট করে স্টেপ বাই স্টেপ আগালে দ্রুত সহজ ফ্রিল্যান্সিং কাজ সমূহ পাওয়াটা সহজ হবে। 


শক্ত নেটওয়ার্ক তৈরি করুন

আপনি যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন সেই সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে নিজের একটি প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করুন। 


আপনার টার্গেটেড ক্লায়েন্টদের সোশ্যাল মিডিয়া আইডি খুঁজে বের করে তাদের সাথে কানেক্টেড থাকার চেষ্টা করুন। দেখবেন ওখান থেকে ভালোই অর্ডার পেতে শুরু করেছেন। 


রিভিউ খুঁজুন

যে ক্লায়েন্টরই কাজ খুঁজুন না কেনো সবসময় রিভিউ বুঝে নিবেন। কারণ এসব রিভিউ আপনার পরবর্তী ক্লায়েন্ট বা অর্ডার পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হিসাবে কাজ করবে। 


তবে হ্যাঁ ফাইভারের মতো যেসব মার্কেটপ্লেসে সরাসরি রিভিউ খোঁজা যায় না সেসব মার্কেটপ্লেসে সরাসরি রিভিউ না খুঁজে টেকনিক্যালি রিভিউ খোঁজার টেকনিক ফলো করুন। আশা করি কাজে দেবে। 


ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করতে এখানে ক্লিক করুন 


মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কিন্তু ভালোই টাইম নেয়। এখানে ৫/৬ মাস ট্রাই করে কাজ না পেলে হতাশ হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। আর যারা ফ্রিল্যান্সিংকে মেইন ক্যারিয়ার হিসাবে ভাবছেন তারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি অন্য কোনো পার্ট টাইম জবেও সময় দিতে পারেন। 


সেখান থেকে আর্ন করা টাকা হাফ দেবেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে আর হাফ নিজের খরচে। তাহলে দেখবেন দিনশেষে খুব একটা হিমশিম খেতে হচ্ছে না। হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং! 

Previous Post Next Post

{ads}