যেসব গুণাবলি না থাকলে হতে পারবেন না প্রো গ্রাফিক্স ডিজাইনার
অনলাইন কনটেন্টের যেকোনো টাইপ এডিটিং বা রেকর্ডিং কাজের প্রতি যাদের বাড়তি আগ্রহ রয়েছে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। বিশেষ করে ভবিষ্যতে ডিজাইনিং সেক্টরে যারা প্রবেশ করতে চান তারা আমাদের সাথেই থাকুন।
![]() |
সঠিক টিপস ফলো করে হয়ে উঠুন প্রো গ্রাফিক্স ডিজাইনার |
জেনে নিন গ্রাফিক্স ডিজাইন পরিচিতি এবং কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবেন সে-সম্পর্কিত গাইডলাইন। এছাড়াও দেখে নিন ঠিক কোন কোন মার্কেটপ্লেস আপনার জম ন্যে পার্ফেক্ট।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং মানে হলো ডিজিটাল কন্টেন্টগুলির ডিজাইনিং করা। এই সহজ কনসেপ্টটি যারা বুঝতে পেরেছেন, তাদের বলে রাখি…বিভিন্ন ধরণের ভিডিওগ্রাফি, ফটোগ্রাফি, কভার ডিজাইনিং, ব্যানার ডিজাইনিং ইত্যাদি হলো এই গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের অংশ।
অনলাইন থেকে আসলেই কি টাকা কামানো যায়: এখানে ক্লিক করে জানুন আসল সত্য
আর যারা এই পেশায় জড়িত তাদের বলা হয় গ্রাফিক্স ডিজাইনার। সাধারণত কোনো কোর্স করে বা নিজেই রিসার্চ করে কাজ শিখে এই সেক্টরে নামতে হয়।
এই কাজের ১০/২০% অংশ আপনি ফোনের সাহায্যে করতে পারলেও পিসি ছাড়া এই কাজের প্রায় ৮০/৯০% শতাংশ কাজ করতে পারবেন না। সাধারণ বড় স্ক্রিনের ল্যাপটপ বা মনিটর ব্যবহার ডিজাইনিং কাজ করতে পারলে ভালো হয়।
কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবেন?
আজকাল ইউটিউবের থাম্বনেল থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ কভারসহ বিভিন্ন লোগো তৈরিতে প্রয়োজন পড়ছে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সেক্টরের। সেক্ষেত্রে দিন দিন গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা বেড়েই চলেছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের কাজ পেতে এখানে ক্লিক করুন
ভবিষ্যত যথেষ্ট ভালো হওয়ায় এই সেক্টরে এখন থেকেই আপনার দখলদারিত্ব থাকা প্রয়োজন। তবে তার পূর্বে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবেন সে-সম্পর্কিত গাইডলাইন। আসুন এ-নিয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাক।
১. ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সেক্টরে যাত্রা শুরু করার পূর্বে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুরুতে যেকোনো একটি সেক্টরে ভালো পারফর্ম করতে হবে। হতে পারে সেটি লোগো ডিজাইনিং, ব্যানার ডিজাইনিং, থাম্বনেল ডিজাইনিং, ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইনিং বা সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ইমেইজ ডিজাইনিং৷
২. কোর্সে জয়েন হোন
কোন সেক্টরে যাবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলতে পারলে আপনাকে সরাসরি শেখার কাজে নামতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে বা অফলাইনে কোর্স করতে পারেন। হাতেকলমে যারা শিখতে চান এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সম্পর্কে যারা ভালো গাইডলাইন পেতে চান তাদের অনুরোধ করবো লোকাল কোনো কোর্সে বা অফলাইনে ভালো কোনো কোর্সে জয়েন হতে।
৩. ফ্রি রিসোর্সের সাহায্য নিন
যারা অফলাইনে বা অনলাইনে টাকা খরচ করে শুরুতে কোর্স করতে চান না বা ভরসা পাচ্ছেন না তারা সরাসরি অনলাইনে থাকা ফ্রি রিসোর্সের সাহায্য নিতে পারেন। এক্ষেত্রে গুগল, ইউটিউব কিংবা বিভিন্ন ডিজাইনিং কোম্পানির রিসোর্সগুলি চেক করতে পারেন। আশা করি অনেক ধারণা পেয়ে যাবেন।
৪. নিয়মিত চর্চা করুন
আপনি যখন কিছুদিন গ্রাফিক্স ডিজাইনিং নিয়ে ঘাটাঘাটি করবেন, কিছুটা জানবেন তখন থেকেই প্র্যাকটিস শুরু করে দিন। যে সেক্টর নিয়ে কোর্স করছেন সেই সেক্টরের এক একটি ডিজাইন তৈরির চেষ্টা করুন। চাইলে রিডিজাইনিংও করতে পারেন।
৫. ফন্ট নিয়ে সচেতন হোন
যেকোনো ডিজাইনের শিরোনাম, সাব-টাইটেল এবং বডি টেক্সটের জন্য টাইপফেস বা ফন্ট নির্বাচন করার সময় সচেতন হোন। কারণ এই ফন্টগুলি সহজ এবং সাবলীল না হলে এবং একইসাথে দেখতে ভালো না লাগলে অডিয়েন্সের বিরক্তির কারষ হবে।
৬. ডিজাইনের আকার ঠিক রাখুন
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শেখার উপায় হিসাবে বা শেখার অংশ হিসাবে আপনাকে সবসময় ডিজাইনের সাইজের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। তবে ডিজাইনের সাইজের দিকে অতিরিক্ত মনোযোগ দিতে গিয়ে ডিজাইনের মূল কনস্টেপ্ট নষ্ট করে ফেলা যাবে না।
৭. আইকনের সঠিক ব্যবহার করুন
এই টিপসটি তাদের জন্য যারা লোগো ডিজাইনিং, ল্যান্ডিং পেইজ বা যেকোনো ব্যানার ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করতে চান। মনে রাখবেন টেক্সট কিংবা ছবি ব্যবহার করা ডিজাইনগুলিতে ভালোভাবে সংশ্লিষ্ট আইকন ব্যবহার করতে না পারলে কোনোভাবেই পার্ফেক্ট ডিজাইন পাওয়া যাবে না।
৮. রঙের সঠিক ব্যবহার করুন
আপনি যদি ভবিষ্যতে সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে চান বা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করার উপায় সম্পর্কে জেনে ডিজাইনিংয়ের কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে রঙের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে।
কোন রং এর সাথে কোন রং ম্যাচ করে, কোন কালারের ডিজাইনে কোন কালার ব্যবহার করবেন তা বুঝতে হলে রং সম্পর্কে জানতে হবে এবং রং এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।