ads

 গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবেন?

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, প্রো গ্রাফিক্স ডিজাইনার, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করার উপায়, গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার উপায়, গ্রাফিক্স ডিজাইন করার উপায়, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ফ্রিল্যান্সার, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ওয়েবসাইট.jpg
আর নয় চিন্তা! হয়ে উঠুন প্রো গ্রাফিক্স ডিজাইনার।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং! যারা নতুন নতুন ডিজাইনিংয়ের কাজ শুরু করেন তাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। কিভাবে প্রতিটি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কপিকে আরো পার্ফেক্ট করে তোলা যায় এবং সর্বোপরি কিভাবে সেরা মানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়া যায় সেই বিষয় নিয়েই আজ আলোচনা করবো। বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। 


ডিজাইন পরিষ্কার রাখুন

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করার সময় কোনোভাবেই ডিজাইনে হাবিজাবি কোনো আইকন, টেক্সট ব্যবহার করবেন না। যতটা সম্ভব ডিজাইনকে পরিষ্কার এবং সহজ রাখার চেষ্টা করুন। 


একসাথে ৫ টা তথ্য কিভাবে ডিজাইনে রাখা যায় সেই চিন্তা করুন। নিজের ক্রিয়েটিভিটিকে কাজে লাগিয়ে বড় কনসেপ্টকে ছোট ডিজাইনে কভার করার টেকনিক রপ্ত করুন। 


গুরুত্বপূর্ণ টেক্সট দিন

অনেকসময় ডিজাইনে গুরুত্বপূর্ণ টেক্সট বিশেষ করে স্লোগান কিংবা অন্যান্য আইকনিক তথ্য দেবার প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে যেকোনো কন্টেন্ট রাইটারের সাহায্য নিতে পারেন। 


তবে প্রজেক্ট বেইজড কাজ করার সময় যদি ক্লায়েন্ট আপনাকে টেক্সট দিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে সেই টেক্সটই ব্যবহার করতে পারেন। ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এসব টেক্সটের ফন্ট সিলেক্ট করুন এবং সঠিক রং প্রয়োগ করুন। 


থিম ঠিক রাখুন

অনেক সময় আপনার কাছে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি কাজ আসতে পারে। বিভিন্ন কার্টুন টাইপ বইয়ের অর্ডার আসতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিটি পেইজে থিম ঠিক রাখতে হবে। 


যেনো কন্টেন্ট চেক করা বোঝা যায় এটি একটি থিমকে কেন্দ্র করেই সাজানো হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ইউনিকন্যাসকে কাজে লাগিয়ে থিম ঠিক রেখে প্রতিটি পেইজে ভিন্ন ভিন্ন আইকন ব্যবহার করতে পারেন। 


লক্ষ্য ঠিক রাখুন

মনে রাখবেন, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর সেক্টরটি অনেক বড়। এখানে বিভিন্ন ধরণের কাজ পাওয়া যায়। যা করে আপনি সারাজীবনই বেশ ভালোভাবে চলতে পারবেন। 


সুতরাং ডিজাইনিং এর প্রতি যাদের বাড়তি ঝোঁক রয়েছে কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সেক্টরে ঢোকার প্রতি যাদের প্রবল আগ্রহ রয়েছে তারা অন্য কোনো অনলাইন আর্নিং সোর্সের প্রতি আগ্রহ রাখবেন। 


আমি বলতে চাচ্ছি মাল্টিটাস্ক করবেন না। বিশেষ করে যারা অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে কেবল ডিজাইনিং শিখছেন তারা মাল্টিটাস্কিং করবেন না। 


অতিরিক্ত লোভ করে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি সেক্টরে ঢুঁ মারবেন না। এতে করে আপনার মূল লক্ষ্যটাই প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা উদ্দেশ্যহীন হয়ে পড়তে পারে। 


ডিজাইন করার সময় ব্রেক নিন

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজ হলো মূলত ইউনিকন্যাসের কাজ। এখানে ক্রিয়েটিভিটি ছাড়া কিছুই নয়। অন্যদিকে আমাদের মাইন্ড কিস্তু রোবট নয়। সুতরাং সবদিক বিবেচনা করে আপনাকে অবশ্যই কাজের সময় কিছুটা ব্রেক নিতে হবে। 


ধরুন ১৫/২০ মিনিট পর পর ৫ মিনিটের ব্রেক নেওয়া যেতে পারে। এতে করে আপনার মাইন্ড আরো ভালোভাবে কাজ করে, ব্রেইনের ফুল রিচার্জ হয়ে যাবে। 


সাদা'কে গুরুত্বপূর্ণ দিন

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করার উপায় হিসাবে সাদাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে পারেন। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করলে যেকোনো ডিজাইনই যথেষ্ট ভালো দেখায়। 


আর হ্যাঁ! সাদা রং ব্যবহার করার সময় এতে লাল, সবুজ, নীল এবং হলুদ রং এর ব্যবহারও রাখতে পারেন। এতে করে ডিজাইন অনেক বেশি পরিমাণ ফুটে উঠবে। 


রিসার্চ করুন এবং ট্রেন্ডি থাকুন

যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করেন তারা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মার্কেটিং টিমদের ফলো করুন। তারা তাদের মার্কেটিং করার জন্যে কোন ধরণের গ্রাফিক্স কন্টেন্ট ব্যবহার করছে, এতে কেমন ডিজাইন করছে…এসমস্ত বিষয় চেক করুন। 


আর হ্যাঁ! যেকোনো ডিজাইন প্রজেক্টে হাত দেবার পূর্বে অবশ্যই টপিক বা মূল বিষয় সম্পর্কে রিসার্চ করে নিবেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিকে কিভাবে একসাথে ডিজাইনে আনা যায় তা মাথায় আনার চেষ্টা করবেন। চাইলে গুগলিং করতে পারেন৷ অসংখ্য ডিজাইন আইডিয়া পেয়ে যাবেন। 


ইতি কথা

আশা করি "কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবেন" এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। আশা করি এই গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার উপায়গুলি ফলো করতে পারলে ভবিষ্যতে আপনার কাজের কোনো অভাব হবে না। তাছাড়া মাসে অন্তত একবার ডিজাইনিং সম্পর্কে নতুন কোনো স্কিল তৈরি করতে পারেন। এতে করে আপনার ডিমান্ড দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। মনে রাখবেন কাজ জানলে, আয়ের অভাব হয় না। আপনার জন্যে শুভ কামনা রইলো। হ্যাপি ডিজাইনিং! 


FAQs

গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখবো? 

আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি যেমন ব্যানার, পোষ্টার, বিলবোর্ড, সোশ্যাল মিডিয়া কভার ফটো, টেলিভিশন কমার্শিয়াল ইত্যাদি ইউটিউবের সাহায্য নিয়ে শিখতে পারেন। তবে সম্পূর্ণ গাইডলাইন পেতে যেকোনো পেইড কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। এক্ষেত্রে ৮,০০০/- থেকে শুরু ১৫,০০০/- বা তার বেশি লাগতে পারে। এছাড়াও অনলাইনে অনেক ফ্রি কোর্স রয়েছে। চাইলে সে-সব কোর্সও ট্রাই করতে পারেন। 


গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইটগুলি কি কি? 

বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই এই সেক্টরে বিভিন্ন কোর্স সেল করছে। আবার ফ্রিতেও পাওয়া যাচ্ছে এসব কোর্স। এক্ষেত্রে পেইড বা ফ্রি যেকোনোভাবেই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কোর্স করতে ওডেমি, স্ম্যাশিং ম্যাগাজিন, টাটস প্লাস, গ্রাফিক্স ডিজাইনার টিপস, আবদুজিডো এবং লুন ডিজাইনের মতো ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে পারেন। 


কত টাকা গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করা যায়? 

যেহেতু অনলাইন সেক্টরে ডলার হিসেব করে পেমেন্ট পাওয়া যায় বা লেনদেন করা হয় সেহেতু এই কারেন্সিতেই বিষয়টির ধারণা দিই! এক্ষেত্রে বছরে সিনিয়র গ্রাফিক্স ডিজাইনারেরা $55,149, সিনিয়র সাধারণ ডিজাইনারেরা $83,312, যেকোনো আর্ট ডিরেক্টরেরা  $76,602 এবং যেকোনো ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর $108,833 এর মতো আয় করতে পারে। এক্ষেত্রে কাজের পরিমাণ অনুযায়ী অর্থের পরিমাণ উঠানামা করতে পারেন। 


গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কি কি লাগে?

অবশ্যই ভালো ইন্টারনেট কানেকশন এবং পিসির প্রয়োজন পড়ে। তার পাশাপাশি বিভিন্ন টুলস বিশেষ করে Adobe Photoshop, CorelDraw, Adobe Illustrator এর ব্যবহার জানতে হয়। 


অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায় তা জানতে এখানে ক্লিক করুন 


অনলাইনে আসলেই টাকা কামানো যায় কিনা জানুন এখানে 


Previous Post Next Post

{ads}